চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএস’র চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক সভা শেষে এ ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশি...
চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএস’র চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক সভা শেষে এ ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলে সহকারী সার্জন পদে ৪৫৪২ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ২৫০ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা ইসরাত শারমিন বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস’র ফল প্রকাশ করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ফল প্রকাশ করা হয়। বিকেলের মধ্যে পিএসসির ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হবে।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯ তম বিশেষ বিসিএসে থেকে যাতে আরও ২২৫০ চিকিৎসক নেওয়া হয়, সে জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায়। এর অনুলিপি পিএসসিকে দেওয়া হয়। এ বছরের ১৫ এপ্রিল এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সময় দেয় পিএসসি। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো জবাব পিএসসিতে আসেনি। এ কারণে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয় এই বিসিএস থেকে আরও ২ হাজার চিকিৎসকসহ মোট ৬ হাজার ৫৪২ জন চিকিৎসক নিয়োগ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, উপজেলা থেকে শুরু করে বিভাগীয় শহর পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ১ হাজার চিকিৎসক অবসরে যাবেন। ৩৯ তম বিসিএস থেকে যে ৪৫৪২ সহকারী সার্জন ও ২৫০ সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। সব বিষয় বিবেচনা করে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে আরও ২ হাজার চিকিৎসক নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
৩৯ তম বিশেষ বিসিএস আয়োজন করা হয় চিকিৎসকদের জন্য। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ৩৯ তম বিশেষ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এরপর গত ৭ মার্চ এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯ তম বিশেষ বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৫১৩ জন প্রার্থী পাস করেছেন। পাস করা প্রার্থীরা চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছেন। গত বছরের ৩ আগস্ট ৩৯ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর ৩২টি কেন্দ্রে এই বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা হয়। এতে প্রায় ৩৭ হাজার ৫৮৩ চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নেন।