নিজের মেয়েকে পাচার করে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম নামক একজ ব্যক্তিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ সোমবার(১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক অমিত কুমার দে এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত শরিফুল যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার মো. বাবুর ছেলে। শরিফুল বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঘারপাড়া উপজেলার ফুল মিয়ার মেয়ে সুফিয়া বেগমের সঙ্গে আসামি শরিফুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। মেয়ের জন্মের এক বছর পর তাদের মধ্যে তালাক হয়ে যায়। এরপর থেকে সুফিয়া খাতুন মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। এর মধ্যে ১৫ বছর পেরিয়ে যায়।
১৫ বছর পর গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি শরিফুল মেয়েকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিজের কাছে নিয়ে যান। পরে আর ফেরত দেননি। অনেক খোঁজখবর করে মেয়ে ও শরিফুলকে কোথাও খুঁজে পাননি সুফিয়া। আট মাস পর বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির (বিএনডব্লিউএলএ) সহযোগিতায় ওই মেয়েকে ফরিদপুরের একটি যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করা হয়। শরিফুল নিজের মেয়েকে গত বছরের ২২ মার্চ ওই যৌনপল্লিতে নিয়ে বিক্রি করে দেন। এ বিষয়ে শরিফুলকে আসামি করে মেয়ের নানা ফুল মিয়া বাঘারপাড়া থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেন।
যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নানাবাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে যান শরিফুল। পরে তাকে ফরিদপুরের একটি যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেন। এরপর বিএনডব্লিউএলএর সহযোগিতায় পুলিশ ওই মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় শরিফুলকে আদালত সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। শরিফুল কারাগারে আটক। মেয়েটি বিএনডাব্লিউএলএর আশ্রয়ে রয়েছে।’
0 coment rios: