সিরিয়ার পূর্ব ঘোতা অঞ্চলে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আবারো রাসায়নিক হামলা চালানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে ফ্রান্স। গত বুধবার বিভিন্ন সামাজিক ও সংবাদমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। ভিডিওটিতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের হামোরিয়া শহরে রাসায়নিক বোমা হামলা চালানোর পরবর্তী অবস্থা ধারণ করা হয়। ওই হামলার জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সমর্থিত বাহিনীকে অভিযুক্ত করা হয়।
এর আগে পূর্ব ঘোতা শহরে ক্লোরিন বোমা হামলা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয় আসাদ সরকারকে। তবে দুই হামলার কথা অস্বীকার করেছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, আলাদা দুই স্থানে চালানো ওই হামলার পরই আসাদ সরকারকে এমন হুমকি দিল ফ্রান্স।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেন ড্রিয়ান জানান, সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো পর্যবেক্ষণ করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তবে ফ্রান্স সরকার চুপ করে বসে থাকবে না। রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের রোধে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরিয়ান অবজারভেটরির ফর হিউম্যান রাইটসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার সিরিয়া বাহিনীর বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ১৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এদিকে গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে প্রায় ৯০০ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
সিরিয়া এককভাবে কোনো গোষ্ঠী, সরকার বা দলের নিয়ন্ত্রণে নেই। দেশটির উত্তরাঞ্চল রয়েছে পিকেকে, ওয়াইপিজি ও এসডিএফ-এর মতো বিভিন্ন কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দখলে। দক্ষিণাঞ্চল শাসন করছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এছাড়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কিছু অঞ্চল দখল করে রেখেছে কয়েকটি বিদ্রোহী দল ও ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এমনই বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চল পূর্ব ঘোতা। ৪০ হাজার বাসিন্দার এই অঞ্চলটি ২০১৩ সাল থেকে অবরোধ করে রেখেছিল সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। কারণ আসাদ নিয়ন্ত্রিত রাজধানী দামেস্কের কাছেই বিদ্রোহীদের পূর্ব ঘোতা সরকারের জন্য হুমকি।
তবে সম্প্রতি রাশিয়ার সহযোগীতার পূর্ব ঘোতা অঞ্চলে বোমা হামলা শুরু করে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। এর পর জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে সেখানে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। তবে ওই যুদ্ধবিরতির তোয়াক্কা না করে চলতে থাকে সিরিয়া সরকারের বিমান হামলা, বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা।
0 coment rios: