গত রোববার (০৪ মার্চ) শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চলীয় মধ্যাঞ্চলীয় ক্যান্ডি শহরে মুসলিমবিরোধী সহিংসতা শুরু হয়। গাড়ি সংক্রান্ত এক বিরোধের জেরে মুসলিমরা বৌদ্ধ এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করেছে- এরকম একটি অভিযোগের পর সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস শ্রীলঙ্কার নির্বাহী পরিচালক রজিত কার্থি টেন্নাকুন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সিংহলিদের রবিবার সকাল ১০টায় টেলডেনিয়া শহরে জড়ো করা হয়েছে। বেলা ১১টায় সবাই জড়ো হলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রবণতা তৈরি হয়। দুপুর ১টা থেকে মুসলমানদের সম্পদ ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ শুরু হয়।
এক পর্যায়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নেয়। পরে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা ঠেকাতে সরকার শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত পর্যটন নগরী কান্ডিতে সোমবার (০৫ মার্চ) কারফিউ জারি করে।
কিন্তু পরে সেটি কিছু সময়ের জন্যে তুলে নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু ২৪ বছর বয়সী এক মুসলিম তরুণের মৃতদেহ পাওয়ার যাওয়ার সাথে সাথেই সেখানে আবারও কারফিউ (সান্ধ্য আইন) জারি করা হয়। মসজিদ, বাড়িঘর, দোকান এবং গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
স্থানীয় একজন কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘সবকিছু ভেঙে ফেলা হয়েছে, মুসলিমরা এখন সেখানে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে’।
মঙ্গলবার আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি বাড়ির পাশে মুসলিম এক তরুণের মরদেহ উদ্ধারের পর সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। মুসলিমরাও প্রতিশোধ নিতে পাল্টা হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১০ দিনের জন্যে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
এছাড়াও ফেসবুকের মতো সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে যারা এধরনের সহিংসতায় উস্কানি দেবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ২০১২ সালের পর থেকে শ্রীলঙ্কায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। কট্টরপন্থী একটি বৌদ্ধ গ্রুপ বিবিএসের বিরুদ্ধে উত্তেজনায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার দুই কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১০ শতাংশ মুসলিম।
0 coment rios: