যশোরে এক বছরে দেড় হাজার মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১ হাজার ৪৪৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব ঘটনার শিকার সবচেয়ে বেশি নারী ও শিশু। হত্যা, আত্মহত্যা, পাচার, ডাকাতি, রাজনৈতিক সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন, পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখযোগ্য। শনিবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রাইটস যশোরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবাধিকার পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যশোরে এক বছরে মোট ১ হাজার ৫৫৮টি মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০৬টি মানবপাচার, অভিবাসন ২২৮, হত্যা ৭৩, যৌতুক ৮, নারী নির্যাতন ১০৯, এসিড নিক্ষেপ ৫, বাল্য বিবাহ ৬, আত্মহত্যা ৯৪, যৌন নিপীড়ন ১২, ধর্ষণ ও বলাৎকার ১৭, অপহরণ ৩১, পুলিশি নির্যাতন ও হয়রানি ৯, নিখোঁজ ৩৪, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ১, শিশু নির্যাতন ১৯, চুরি ৩৮, ছিনতাই ৩২, ডাকাতি ১৪, আদালতের রায় ভিকটিমের ২৭, সংখ্যালঘু নির্যাতন ১, রাজনৈতিক সহিংসতা ১৭৫টি ও সড়ক দুর্ঘটনা ৪১৯টি ঘটেছে।
মানবাধিকার লংঘনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধারণত দারিদ্রতা, অসচেতনতা, যথাযথ আইন থাকলেও তার সঠিক প্রয়োগের অভাব, উন্নত জীবনের হাতছানি, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যাতায়াতের অবাধ সুযোগ ইত্যাদি।
রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বার্ষিক মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বাস্তবে এ চিত্র আরও বেশি হতে পারে। গত এক বছরে জেলায় মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এই সমস্যার সমাধানে সরকারকে আরও বেশি আন্তরিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাইটস যশোর প্রোগ্রাম অফিসার সরোয়ার হোসেন, তৌহিদ জামান, সাংবাদিক আমিনুর রহমান মামুন।
0 coment rios: