প্রায় ৬ মাস আগে ধর্ষিতা হয়েছিল পাথরপ্রতিমার এক স্কুলছাত্রী। বর্তমানে এখন সে প্রায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে পাথরপ্রতিমা থানায় এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এরপর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক যুবক সঞ্জয় দাসকে খুঁজছে পুলিশ। জানা গেছে, ধর্ষক সঞ্জয় দাস চেন্নাইয়ের একটি কারখানার শ্রমিকের কাজ করে।
এই দিনেই ধর্ষণের শিকার ১০ম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির বাবা নেই। সে তার মা এবং দুই ভাই-বোনের সঙ্গে থাকেন। প্রায় ৫ মাস আগে পাড়ার একটি কলে পানি আনতে গিয়েছিল মেয়েটি। সেখানে পিকনিক চলছিল। সঞ্জয়ও সেই পিকনিক হাজির ছিল। এ সময় মেয়েটিকে সে আড়ালে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়েটির পরিবার। একই এলাকাতেই থাকত ধর্ষক সঞ্জয়।
মেয়েটির মায়ের দাবি, তিন দিন আগে এই ঘটনারটি জানাজানি হয়। কিন্তু এতো দিন বিষয়টি কেন জানায়নি মেয়েটি? প্রথমত লোকলজ্জার ভয়, দ্বিতীয়ত এই ঘটনার কথা অন্য কাউকে জানালে ধর্ষক সঞ্জয় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। এজন্য আমার মেয়ে ভয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছিল এতোদিন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় অনেকেই নাকি অভিযোগ করতে নিষেধ করেছিল ধর্ষিতার পরিবারকে। এ কারণে মেয়েটির পরিবার স্থানীয় মানুষের চাপে অভিযোগ করতে গড়িমসি করেছে। এমনটিই দাবি করেছেন, দেশটির মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক আলতাফ আহমেদ। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে গিয়ে থানায় অভিযোগ করেছে মেয়েটির পরিবার।
সুন্দরবন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য কাকদ্বীপে আনা হয়েছে। হোমে পাঠানো হবে কিনা চিন্তা ভাবনা করে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসের বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে।
0 coment rios: