জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকৃতি দেয়াকে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র শামিল। এমনটি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ট্রাম্পের এমন ঘোষণাকে ধিক্কার জানিয়েছেন তিনি।
‘জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের চিরন্তন রাজধানী’ হিসেবে উল্লেখ করে মাহমুদ আব্বাস আরো বলেন, ‘বুধবারের এই ঘোষণার পর আমেরিকা আর ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকতে পারে না।’ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য এমন একটি সময়ে এলো, যখন ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির পাশাপাশি তেলআবিব থেকে নিজেদের দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নেওয়ার কথাও ঘোষণা দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘স্পষ্টতই এটা ইসরাইলের প্রতি একটি পুরস্কার।’ আর এই স্বীকৃতি যে ফিলিস্তিনের ভূমি ক্রমাগত দখল করতে ইসরাইলকে উৎসাহিত করবে, তা-ও উল্লেখ করেন তিনি। ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদের ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ তিন দিনের বিক্ষোভ ঘোষণা করেছে বলে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা।গাজার হামাস নেতা ইসমাইল হার্নিয়া আলজাজিরার কাছে ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘উন্মাদনার আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বুধবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ ভাষণের মধ্য দিয়ে জেরুজালেম নিয়ে আমেরিকার কয়েক দশকের নীতির পরিবর্তন ঘটল।
যদিও একে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে বেশ শঙ্কিত সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এ বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন তারা। জেরুজালেমে ইসরায়েলের রাজধানী স্থানান্তর ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ডেকে আনবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জর্ডান। একই ধরনের প্রতিক্রিয়া তুরস্কেরও।
0 coment rios: