গত দু’দিন নিম্নচাপ ও ঠাণ্ডায় শিশুদের সর্দি, কাঁশি, জ্বর বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনে ফলে বিশেষ করে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। যশ...
গত দু’দিন নিম্নচাপ ও ঠাণ্ডায় শিশুদের সর্দি, কাঁশি, জ্বর বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনে ফলে বিশেষ করে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। যশোর জোনারের হাসপাতালে গত কয়েক দিনে তিনগুন রোগী ভর্তি হয়েছে। সীমিত আসনের বিপরীতে অধিকসংখ্যক রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ঘরে দেখা গেছে, ২৪ শয্যার ওয়ার্ডে প্রায় একশত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। সঙ্গে স্বজনদের উপস্থিতিতে মানুষে গিজগিজ করছে পুরো ওয়ার্ড। এখানেই চলছে শিশুদের চিকিৎসা। কেউ কেউ শয্যা পেলেও বেশিরভাগ শিশুকে মেঝেতে অবস্থান নিতে হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, তিনদিনে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ১২৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত নতুন শিশু এ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডেরএক একটি বেডের বিপরীতে তিনগুণ রোগী ভর্তি থাকায় ওয়ার্ডের মেঝেতে তাদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। রোগীর ভিড়ে চিকিৎসা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়ার তারতম্য ও ঠাণ্ডাজনিত কারণে এ রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে যশোরের শিশুরা নিউমোনিয়া বা শ্বাস প্রদাহ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যে কারণে হাসপাতালের শিশু রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭৫ জন শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ওয়ার্ডে মোট বেডের সংখ্যা ২৪টি। স্বল্প সংখ্যক বেডে জায়গা না হওয়ায় তাদের ওয়ার্ডেও মেঝেতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সেখানে রোগীর ঠাসাঠাসিতে চিকিৎসক ও সেবিকাদের চিকিৎসা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। অধিক সংখ্যক শিশু চিকিৎসাসেবায় ওষুধেরও সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, গত ৯ নভেম্বও থেকে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গত ১ নভেম্বর হতে গতকাল পর্যন্ত মোট ভর্তি শিশুর সংখ্যা ছিল ৩শ’ ৫০ জন। গত দু’দিন নিম্নচাপ ও ঠাণ্ডায় শিশুদের সর্দি, কাঁশি, জ্বর বৃদ্ধি পেয়েছে।
শহরের ঘোপ এলাকার আফরোজা খাতুন বলেন, তিন দিন ধরে ছেলেটার জ্বর হয়েছে। সঙ্গে সর্দি কাশিও আছে। শিশু হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা রাখেনি। সদরে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখানে আছি ছেলেকে নিয়ে। কয়দিন থাকতে হবে জানি না।
ঝিকরগাছার দোস্তপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে নাতি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঠাণ্ডা জ্বরে কাহিল ছিল এখন মোটামুটি সুস্থ। বৃহস্পতিবার ডাক্তার রিলিজ দিয়েছে।
এদিকে, অধিক সংখ্যক শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া সম্পর্কে শিশু বিভাগের প্রধান সহকারী অ্যধাপক ডা. মো: মাহবুবুর রহমান জানান, আবহাওয়ার তারতম্য ও হঠাৎ করে ঠান্ডা পড়ার কারণে শিশুরা অধিকহারে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক একেএম কামরুল ইসলাম বেনু বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে।