যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় ফজলুর করীম বাবলু নামে পুলিশের এক এএসআইকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন যশোরের আদালত।
রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শাহিনুর ইসলাম এ রায় দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বাবলু বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার শেরুয়া বটতলার রহমতপুরের কলিম উদ্দিনের ছেলে।
বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কাজী ফরিদুল ইসলাম। আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৭ মে তৎকালীন যশোরে কর্মরত পুলিশের এএসআই ফজলুল করীম বাবলু বাঘারপাড়া উপজেলার আয়াপুর গ্রামের মৃত আবদুর রহমান মল্লিকের মেয়ে শাহিনা বেগমকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পরে তারা যশোর শহরের নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ে এটিএম আমিনুল ইসলামের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতেন। বিয়ের পর থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবিকে শাহিনার ওপর নির্যাতন শুরু করেন বাবলু। ওই টাকা পরিশোধ করেন স্ত্রী। পরে আবার যৌতুক দাবি করেন তিনি। এবার যৌতুক না পেয়ে যশোর ছেড়ে চলে যান বাবলু।
২০১৫ সালের ২৬ আগস্ট বাবলু ওই ভাড়া বাসায় আসেন। পরদিন বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যৌতুক ছাড়া শাহিনাকে নিয়ে ঘর সংসার করার অনুরোধ করেন। কিন্তু কারো কোনো কথা না শোনায় একই বছরের ১৫ অক্টোবর যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন শাহিনা বেগম।
৮ ডিসেম্বর ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেয়া হয়। এরপর আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এরপরও তিনি হাজির না হওয়ায় তার অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাকে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
0 coment rios: