লাইনচ্যুত হওয়ার ১১ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও খুলনা-যশোর-বেনাপোল রুটের কমিউনিটি ট্রেনটি সচল হয়নি। ফলে এ রুটে যাত্রী চলাচলসহ আমদানি পণ্য পরিবহন ...
লাইনচ্যুত হওয়ার ১১ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও খুলনা-যশোর-বেনাপোল রুটের কমিউনিটি ট্রেনটি সচল হয়নি। ফলে এ রুটে যাত্রী চলাচলসহ আমদানি পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার সকাল ৯টার দিকে খুলনা-বেনাপোল রেল রুটের যশোরের শার্শার শ্যামলাগাছি এলাকায় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। রাত আটটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রেনটি উদ্ধার না হওয়ায় রুটটি সচল হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, বেনাপোল থেকে কমিউনিটি ট্রেনটি ছেড়ে যশোর হয়ে খুলনায় যাচ্ছিলো। এসময় শার্শার শ্যমলাগাছিতে পৌঁছলে ট্রেনটির একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি৷
ট্রেনের যাত্রী মিরাজ হোসেন জানান, ট্রেনটি হঠাৎ লাইনচ্যুত হওয়ায় যাত্রীরা সব একে অপরের গায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। পরে তারা ট্রেন থেকে নেমে বিকল্প ব্যবস্থায় সড়ক পথ ধরে গন্তব্যে যান।
রাতে বেনাপোল স্টেশনের মেকানিক্যাল শাখার ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী গোলজার হোসেন রেল চলাচল স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক জানান, এটি একটি আন্তর্জাতিক রেল পথ। এ পথে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্যসহ বেনাপোল থেকে খুলনা পর্যন্ত পাসপার্ট ও সাধারণ যাত্রী যাতায়াত করছে। এ রেল পথের অবস্থা খুব শোচনীয়। বেনাপোল থেকে যশোর পর্যন্ত রেল পথে কোথাও কোনো পাথরের খোয়া বিছানো নেই। এতে সহজে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দুঘটনা ঘটছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের আগে থেকেই নজর দেওয়া দরকার ছিলো।