প্রেমের টানে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তরুণী শবনম পারভীন বুল্টি এসেছেন বাংলাদেশের যশোরে। সুখের আশায় তার বাংলাদেশি প্রেমিক বিষ্ণু মণ্ডলকে বিয়ে করে সংসার পেতেছিলেন কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামে। অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের দায়ে বুধবার বিকেলে পুলিশ বুল্টি ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করে।তবে বিষ্ণু বাংলাদেশি হওয়ায় পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কেশবপুর থানায় গিয়ে দেখা যায়, বুল্টির কপালে সিঁদুর, পরনে ছাপা শাড়ি, হাতে শাঁখা। ২২ বছরের বুল্টি বলেন, তার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়া থানার মারাকপুর এলাকায়। হাবড়া শ্রীচৈতন্য কলেজের বিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। পাশাপাশি একটি কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার ছিলেন। বাবা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মো. আতিয়ার রহমান পৃথিবা পঞ্চায়েতের সদস্য।
তিনি জানান, প্রায় ৭ বছর আগে তার পরিচয় হয় ওই সময় অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিষ্ণু মণ্ডলের সঙ্গে। তারপর প্রেম। তিন মাস আগে হাবড়ায় তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। কিন্তু নিজের ও স্বামীর নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রায় দুই মাস আগে কলকাতার কালিঘাট মন্দিরে হিন্দু ধর্মমতে বিয়ে করেন তারা। এরপর রাতের আঁধারে কাঁটাতার পেরিয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া হয়ে তারা চলে আসেন স্বামীর বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদত্তকাটি গ্রামে।
স্বামীর সঙ্গে থাকতে দিতে তাকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য বুল্টি বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে দাবি জানান। বুল্টির স্বামী বিষ্ণু মণ্ডল বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চাই। আমাদের ভালোবাসার মৃত্যু হবে না। ধর্ম আমাদের কোনো বাধা নয়। সীমানা আইন আমাদের প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারবে না।’
বিষ্ণু তার স্ত্রীকে কাছে পেতে আইনি সহায়তার জন্য দ্রুত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে আবেদন করবেন বলেও জানান।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আনোয়ার হোসেন জানান, অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পাসপোর্ট আইনে শবনম পারভীনের (বুল্টি) নামে মামলা নিয়ে তাকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
0 coment rios: