যশোরে তিন হাজারের অধিক মামলার আলামত হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে জুডিসিয়াল ভবনের সামনের...
যশোরে তিন হাজারের অধিক মামলার আলামত হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে জুডিসিয়াল ভবনের সামনের রাস্তায় বুলডোজার ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আকরাম হোসেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলী, মো. বুলবুল ইসলাম, মো. শাহিনুর রহমান, কোর্ট পরিদর্শক রোকসানা খাতুন, মালখানার সিএএসআই শেখ আলী আহমদ প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোর জেলার নয় থানার বিভিন্ন মামলার আলামত জমা রাখা হয় কালেক্টরেট ভবনে। বছরের পর বছর আলামত ধ্বংস না করায় মালখানায় তিল ধরার ঠাঁই ছিল না।
বর্তমান জেলা জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম যশোরে যোগদানের পর মালখানা পরিদর্শন করেন। মালখানার এ অবস্থা দেখে তিনি মামলার আলামতের নমুনা রেখে আইনি প্রক্রিয়ায় আলামত ধ্বংসের ব্যবস্থা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকেলে ধ্বংস করা হয় হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন আলামত ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংস করা আলামতের মধ্যে রয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার বোতল ফেনসিডিল, ৩৮ কেজি ১১৫ গ্রাম হেরোইন, এক লাখ ২৩ হাজার ৬৩৬ পিচ ইয়াবা, ওষুধ ১৫ কার্টন (পাঁচ লাখ পিচ), ছয় হাজার ১৮১ বোতল ও ১৯৬ লিটার দেশি মদ, বিদেশি মদ এক হাজার ৬০০ বোতল, বিয়ার ২১০ বোতল, স্পিরিট ৬৯৬ বোতল, ইউরিয়া সার ৯০০ কেজি, টিএসপি ১০৫ বস্তা, সাদা পাউডার ২০ কেজি, কারেন্ট জাল ১১ কেজি, গুঁড়োদুধ ৫০ প্যাকেট, রুটি বানানো বেলুন ২০টি, পটকাবাজি এক হাজার ৭৪০ প্যাকেট, তুলা ৩৬০ কেজি, পাট ২০ কেজি, সাবান ১৭ পিস, সিগারেট ১৩০ প্যাকেট, বিড়ি ২৮ বান্ডিল ও মুরগির খাবার তিন বস্তা।