যশোরের মণিরামপুর পলাশী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শিক্ষক আক্কাস আলীকে বহিস্কার করা হয়েছে। গত শনিবার তাকে বহিস্কার করা হলেও রোববার সন্ধ্যায় তা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এসে পৌঁছায়।
আক্কাস আলী উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের ইমান আলীর ছেলে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের খন্ডকালীন শিক্ষক (ইংরেজি) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার ঘরে স্ত্রী রয়েছে। আক্কাস আলী দুই সন্তানের জনক। এই ঘটনায় এলাকায় হইচই পড়ে গেছে।পলাশী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়ানোর সূত্র ধরে পলাশী হাইস্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষক আক্কাস। এক পর্যায়ে প্রথম স্ত্রীকে রেখে গোপনে আট মাস আগে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন আক্কাস। গত বৃহস্পতিবার তিনি ওই ছাত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে উঠেন। তখন বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানতে পেরে ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা এসে তাদের মেয়েকে নিয়ে যান। পরে তারা বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানালে শনিবার আক্কাসকে বহিস্কার করা হয়। বর্তমানে ওই ছাত্রী তার অভিভাবকদের হেফাজতে রয়েছে। আর শিক্ষক আক্কাস গা ঢাকা দিয়েছেন।
জানতে চাইলে পলাশী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন,‘ইংরেজি শিক্ষক না থাকায় কয়েক বছর আগে রেজুলেশনের মাধ্যমে কমিটি আক্কাস আলীকে খন্ডকালীন নিয়োগ দেন। গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা আমাকে বিষয়টি জানান। শনিবার আক্কাস আলীকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।’ তবে,ওই ছাত্রীকে আক্কাস আলী বিয়ে করেছেন কিনা তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান বলেন,‘বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আক্কাস আলীর বক্তব্য জানা যায়নি।
0 coment rios: