যশোরে যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে সুলেখা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে শহরতলীর নওদা...
যশোরে যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে সুলেখা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার রাত ১০টার দিকে শহরতলীর নওদাগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সুলেখা নওদাগ্রামের রহমত ইসলামের স্ত্রী এবং শহরের সিটি কলেজপাড়ার লিয়াকত আলীর মেয়ে।
লিয়াকত আলী বলেন, রহমত ইসলাম পেশায় লেদ মিস্ত্রি। প্রায় দশ বছর আগে মেয়ে সুলেখার সাথে রহমতের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান আছে। বিয়ের সময় নগদ টাকা, সোনার গহনা এবং বিভিন্ন মালমালসহ তিন লাখ টাকার যৌতুক দেয়া হয়। গত এক মাস ধরে আবার এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল রহমত। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় সে স্ত্রী সুলেখাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ঘটনার দিন রোববার সন্ধ্যায় আবার সেই যৌতুকের দাবিতে সুলেখাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে চলে যায়। রাত ১০টার দিকে মনের কষ্টে সলেখা ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরে পরিবারের লোকজন সুলেখাকে জেনারেল হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার কল্লোলকুমার সাহা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সুলেখার মৃত্যু হয়েছে।
কোতয়ালী থানার এসআই বাবুনকুমার বিশ্বাস বলেন, কী কারণে সুলেখা গলায় ফাঁস দিয়েছে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।