সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বেঁধে দেয়া ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনো যশোরের বেহাল পাঁচটি জাতীয় মহাসড়কের সংস্কারকাজ শেষ হয়নি। ...
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বেঁধে দেয়া ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনো যশোরের বেহাল পাঁচটি জাতীয় মহাসড়কের সংস্কারকাজ শেষ হয়নি। ফলে এসব সড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্বচ্ছন্দ চলাচল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বলছে, সব জাতীয় সড়কই এখন চলাচলের উপযোগী। ফলে যাত্রীদের কোনো সমস্যা হবে না।
উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট যশোরে খুলনা বিভাগের সব প্রকৌশলীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোর বলছে, গেল জুলাইয়ে যশোরে ভারি বৃষ্টিপাতে পাঁচটি জাতীয় সড়কসহ দুটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষতি হয় ১০ কোটি টাকা। আর এসব সড়ক মেরামতে প্রয়োজন দীর্ঘ সময়। ক্ষতিগ্রস্ত জাতীয় সড়কগুলো হলো, যশোর-খুলনা, যশোর-বেনাপোল, যশোর-ঝিনাইদহ, যশোর-মাগুরা ও যশোর-নড়াইল।
সওজ যশোর অফিস থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর-খুলনা মহাসড়কের ৩৮ কিলোমিটারের মধ্যে চাঁচড়া মোড়, মুড়লী, রাজঘাট, বসুন্দিয়া, প্রেমবাগ, চেঙ্গুটিয়া ও ভাঙ্গাগেট এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর যশোর-বেনাপোল সড়কের পুলেরহাট থেকে নাভারন মোড় পর্যন্ত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে ১২ কিলোমিটার একেবারেই বেহাল। যশোর-মাগুরা সড়কের ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কদমতলী ও পুলেরহাট থেকে লেবুতলা বাজার ও রজনীগন্ধা পাম্প পর্যন্ত খানাখন্দে ভরে গেছে। আর যশোর-নড়াইল সড়কের ২০ কিলোমিটারের মনিহার থেকে হামিদপুরের পুরো অংশেই অসংখ্য বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, যশোর-খুলনা সড়কের মনিহার থেকে বকচর মুড়লী পর্যন্ত বড় বড় ঢিবির মতো তৈরি হয়েছে। মণিহার-মুড়লী পর্যন্ত চলাচলের চরম অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়কের ভাঙা অংশে বিটুমিনের ওপর ইট বিছিয়ে যানবাহন চলাচল ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সওজ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালে যশোর শহরের দড়াটানা মোড় থেকে নাভারন মোড় পর্যন্ত ওই মহাসড়কের ২৩ কিলোমিটারে বিটুমিনের আস্তরণ দেয়া হয়। কিন্তু এক বছর না যেতেই মহাসড়কের ওই অংশের কয়েকটি জায়গার বিটুমিন উঠে যায়। এছাড়া ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের বিটুমিনের আস্তরণও উঠে গেছে। এ উপজেলার কপোতাক্ষ নদের ওপর নির্মিত সেতুর দুই পাশের অন্তত আধা কিলোমিটারের অবস্থা খুবই বেহাল। তাছাড়া সেতুর পাটাতনও ফেটে গেছে।
এ ব্যাপারে যশোর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাংগীর আলম বলেন, সব জাতীয় সড়কের গর্তগুলো সমান করা হয়েছে। মানুষ ঈদে স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবে। যেগুলো বাকি আছে, সেগুলোর সংস্কারকাজও চলবে।