দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার মোকাম রাজারহাটে ঈদ পরে দ্বিতীয় হাটে শনিবার প্রায় ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। এদিন গরুর চামড়া ৭০-৭৫ টাকা ও ছাগলের চামড়া ৩০-৩৫টাকা বর্গফুট হারে বিক্রি হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা কৌশলী হওয়ায় চামড়া বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও অন্তত দুই হাটে কোরবানির পশুরা চামড়া বেচাকেনা হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। রাজারহাট চামড়ার মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ পরবর্তী প্রথম হাটের তুলনায় শনিবার হাটে চামড়ার আমদানি বেশি ছিল। গত হাটে ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাজার যাচাইয়ের জন্য তারা কম চামড়া এনেছিল। সেদিনও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়। সেদিন লাভের মুখ দেখতে পারেননি তারা। তবে শনিবার হাটে যারা চামড়া বিক্রি করতে এসেছিলেন, তারা লাভের মুখ দেখেছেন। একসঙ্গে সব চামড়া বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছেন না তারা। পর্যায়ক্রমে অল্প পরিমাণ চামড়া বাজারে তুলছে। এতে সিন্ডিকেট অনেকটা কোণঠাসা হয়ে বেশি দামে চামড়া কিনতে বাধ্য হচ্ছে। শনিবার হাটে প্রায় ৩০ হাজার পিস গরু, ছাগলের চামড়া বাজারে ওঠে। সবমিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়েছে রাজারহাট চামড়ার মোকামে। এতে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে। মাগুরার শালিখার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চাঁন বিশ্বাস বলেন, গত হাটের চেয়ে বেশি দামে চামড়া বেচাকেনা হয়েছে। হাটে চামড়াও বেশি উঠেছে। দাম আরও বৃদ্ধি হওয়ার কথা। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো দাম পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, আড়ৎদার ও হাট মালিকরা বাইরের ব্যবসায়ীদের চামড়া কিনতে দিচ্ছে না। তারা নিজেরাই চামড়া কিনে বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে চায়। এজন্য তারা সিন্ডিকেট করছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপার পাইকার ব্যবসায়ী কাজী ইকবাল বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে এখনও গত বছরের দুই লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। বেশি দামে চামড়া কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আজকের হাটে ৬৫-৭০ টাকা বর্গফুট দরেও চামড়া কিনেছি। বৃহত্তর যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল মজিদ পলাশ বলেন, বেশি দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। গত হাটের তুলনায় বেশি চামড়া এসেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়েছে।
বৃহত্তর যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, ঈদ পরবর্তী প্রথম হাটে সীমিত সংখ্যক চামড়া বেচাকেনা হলেও আজকের হাটে প্রায় ৪ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়েছে। ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদেরও মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। হাটের ইজারাদার হাসানুজ্জামান হাসু বলেন, চামড়ার বেচাকেনা বেড়েছে।
0 coment rios: