যশোরে এ বছর অতিবৃষ্টিতে শত শত হেক্টর জমির শাকসবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা অগ্রিম সিম চাষ করেছে। ফল...
যশোরে এ বছর অতিবৃষ্টিতে শত শত হেক্টর জমির শাকসবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা অগ্রিম সিম চাষ করেছে। ফলনও ভাল হয়েছে। এখন দেখার অপেক্ষা কেমন দাম পায়।
শনিবার চৌগাছা মাঠে যেয়ে দেখা যায়, মাঠের সিংভাগ জমিতে অগ্রিম সিম চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে সিমের ফুলও এসে গেছে। এ সপ্তাহের মধ্যে ফুল থেকে সিমে পরিণত হবে। অগ্রিম সিমে ফুল আসায় কৃষকরা খুবই আনন্দিত। তারা আশা করছে দিন পনের দিনের মধ্যে উৎপাদিত সিম বাজারে উঠানো যাবে। আর অগ্রিম সিম বাজারে উঠলে দাম বেশি হবে। দাম বেশি পেলে এবার বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতি পুষানো যাবে বলে এমনিই আশা প্রকাশ করেছেন মাঠের একাধিক কৃষক।
চৌগাছা সিংহ ঝুলির তরিকুল জানায়, এ বছরে মাঠে দুই বিঘার মত কপি, মূলা, শাকের বীজ বুনেছিল। কিন্তু এ বছর অতিবৃষ্টির পানিতে সবই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই উপায়ান্ত না পেয়ে কাঠা দশেকের মতো জমিতে সিম গাছ লাগিয়েছিলাম। সিম গাছে ইতোমধ্যে ফুল এসেছে। সিম গাছের ফুল দেখে মনে হচ্ছে দশ কাটা জমিতে ২ লাখ টাকার সিম বিক্রি করা যাবে। আশা করা যায় দিন পনের মধ্যে সিম তোলা যাবে। তার এ দশ কাঠা জমিতে সিম চাষ করতে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে তিনি জানান
যশোর কৃষি কর্মকর্তা কাজি হাবিবুর রহমান বলেন, এ বছর যশোর জেলার ৮টি উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে সিম চাষ হয়েছে। যশোর জেলা কৃষি দপ্তর থেকে চাষিদের চাষ সংক্রান্ত সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়েছে। এ বছর অতিবৃষ্টি কারণে এলাকায় কৃষকদের শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে কৃষকরা সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অগ্রিম সিম চাষ করেছে। মাঠে সিমের ফলন এ বছর অন্য বছরের থেকে ভালো। কৃষকদের নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি সিম চাষের মাধ্যমে পূরণ হবে বলেও তিনি জানান।