দক্ষিণবঙ্গে প্রথমবারের মতো সোনার গয়না হলমার্ক বা মান নিশ্চিতকরণ ছাপ দেওয়া শুরু হয়েছে। এটি শুরু করেছে যশোরের সোনাপট্টির প্রতিষ্ঠান ‘চৌধুর...
দক্ষিণবঙ্গে প্রথমবারের মতো সোনার গয়না হলমার্ক বা মান নিশ্চিতকরণ ছাপ দেওয়া শুরু হয়েছে। এটি শুরু করেছে যশোরের সোনাপট্টির প্রতিষ্ঠান ‘চৌধুরী গোল্ড’। এর ফলে গয়নায় আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে। তাতে গয়না কিনে ক্রেতাদের আর প্রতারিত হওয়ার ভয় থাকবে না। এই প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের গয়নায় হলমার্ক দিয়ে বিক্রির পাশাপাশি নামমাত্র মূল্যে গ্রাহকদের গয়না হলমার্ক দিয়ে মান নিশ্চিত করে দিচ্ছে।
যশোর শহরে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি যশোর জেলা শাখার তালিকাভুক্ত ২২৫টি সোনার দোকান রয়েছে। এর মধ্যে চৌধুরী গোল্ড অন্যতম। সরেজমিন এই প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দেখা গেছে, ডিজিটাল ‘টন্স’ মেশিনের ওপর সোনার গয়না দেওয়া হচ্ছে। এক মিনিটের মধ্যে গয়নাটি এক্সরে হয়ে মনিটরে সোনার মান প্রদর্শন করছে। পরে গয়নার ফলাফল প্রিন্ট হয়ে আসছে। এরপর লেজার মেশিনে নির্দিষ্ট গয়নাটি রাখলে তার ওপর লেজারের সাহায্যে হলমার্ক হয়ে যাচ্ছে।
গয়নায় হলমার্ক চিহ্নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে ২১ কেডিএম কিংবা ২২ কেডিএম লেখা খোদাই হচ্ছে। জানা গেল, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ছাড়া অন্য কোনো সোনায় হলমার্ক হয় না। এই হলমার্কযুক্ত গয়না দেশের ভেতর ও দেশের বাইরে একই মান নিশ্চিত করে, যা ক্রেতাদের সোনার গয়না কেনায় সুরক্ষা দেয়।
চৌধুরী গোল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, ‘যশোরের অনেক সোনার দোকান মালিক আমাদের কাছ থেকে হলমার্ক করে নিয়ে গয়না বিক্রি করছে। ক্রেতারাও এখন সচেতন। তারা আমাদের কাছ থেকে হলমার্কযুক্ত গয়না কিনছে। এ ছাড়া অনেকে সনাতন সোনার গয়না ভেঙে ২১ বা ২২ ক্যারেট করে হলমার্ক করছে। আমরা মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে হলমার্ক করে দিচ্ছি। ’ সোনাপট্টির হ্যাভেন জুয়েলার্সের মালিক গৌতম কুমার সূত্রধর বলেন, ‘যশোরাঞ্চলে হলমার্কের কোনো সুযোগ ছিল না। ভারতের সর্বত্র হলমার্কযুক্ত গয়না বিক্রি হচ্ছে। এখন আমরা স্থানীয়ভাবে হলমার্ক করে নিশ্চিন্তে গয়না বিক্রি করতে পারছি। ’
শহরের বেজপাড়া এলাকার গৃহবধূ ইসমত আরা বলেন, ‘আগে গয়না কিনে অনেক ঠকেছি। ভরিতে চারআনাও খাদ দেওয়া হয়েছে। এখন আমার সনাতন সোনার গয়না ভেঙে নতুন গয়না তৈরি করে হলমার্ক করে নিয়েছি। এর ফলে আমি নায্য দামে আমার গয়না যেকোনো জায়গায় বিক্রি করতে পারব। ’