যশোরে পৃথক ঘটনায় এক কিশোরীসহ ৩ নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ও মৃত কিশোরীর স্বজনরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে যশোরের ক...
যশোরে পৃথক ঘটনায় এক কিশোরীসহ ৩ নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ও মৃত কিশোরীর স্বজনরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে যশোরের কেশবপুর উপজেলার দত্তনগর গ্রামে মমতাজ খাতুন (১৪) নামে ওই কিশোরী ঘরের আঁড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে তার মৃত্যু হয়। মমতাজ খাতুন উপজেলার দত্তনগর গ্রামের আব্দুল জলিলের কন্যা। একই দিন বিকেলে যশোর সদর উপজেলার আন্দোলপোতা পরানপুর গ্রামে নানা মশিয়ার রহমানের বাড়ি ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে মিতু খাতুন (২০) আত্মহত্যা করেন। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করার পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে মাঠায়। পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছেন, এক বছর আগে ঝিনাইদহ শহরের হটাৎপাড়ার সজল হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিতু খাতুনকে তার মাতা বিউটি খাতুন স্বজলের কাছে মিতুকে দিতে অস্বীকার করে। এ সময় মিতু তার মায়ের কথার প্রতিবাদ করলে তাকে বুধবার বিকেলে মারপিট করা হয়। এতে মায়ের ওপর ুব্ধ মিতু গলায় ফাঁস দিলে তার মৃত্যু হয়। মিতু খাতুন একই উপজেলার নোঙ্গরপুর গ্রামের মিয়ারাজ হোসেনের কন্যা। পিতা মিয়ারাজের সাথে মা বিউটি খাতুনের অনেক আগে দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর মায়ের স্নেহে নানাবাড়িতে বড় হয় মিতু।
এছাড়া মনিরামপুর উপজেলার আশ্বিংগাড়ী গ্রামের আব্দুল হালিমের কন্যা নিলা খাতুন (১৬) বুধবার বিকেলে ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিলে তার মৃত্যু হয়। নিলা খাতুন স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। মনিরামপুর থানার এসআই তোবারক আলী জানিয়েছেন, লেখাপড়ায় মনোযোগী না হওয়ায় পিতা-মাতা তার ওপর চাপ প্রয়োগ করে। চাচা আক্কাস আলী কিছুদিন আগে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে রাখে। সেখান থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর বাড়িতে আসার পর বুধবার বিকেলে নিলা খাতুন গলায় ফাঁস দেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় মনিরামপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ নিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।