যশোরে ধর্ষণের দায়ে একলাস হোসেন নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে একলাসের ঔরসে জন্ম নেয়া শিশুর ২...
যশোরে ধর্ষণের দায়ে একলাস হোসেন নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে একলাসের ঔরসে জন্ম নেয়া শিশুর ২১ বছর পর্যন্ত ভরণ-পোষণের আদেশ দিয়েছে একলাসকে। মঙ্গলবার বিকেলে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অমিত কুমার দে এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত একলাস হোসেন বাঘারপাড়ার দড়ি জাফরপুর গ্রামের জোহর আলীর ছেলে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন বিশেষ পিপি এম ইদ্রিস আলী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুল গ্রামের ওই শিশু তার মামা বাড়ি দড়ি জাফরপুর গ্রামের থেকে স্থানীয় স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে পড়তো। তার এক চাচাতো মামার ছেলে একলাস তাকে বিয়ে করবে বলে প্রায়ই প্রলোভন দেখাতো। এক পর্যায়ে একলাস তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরইমধ্যে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। একলাসকে বিয়ের জন্য সে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু একলাস তাকে বিয়ে করবে না বলে তাকে বাড়ি থেকে চলে বলে এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলতে বলে।
অবশেষে নিরুপায় হয়ে ওই কিশোরী তার পিতা-মাতাকে জানায়। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে ২০১২ সালের ১৩ জুলাই ওই কিশোরীর পিতা বাঘারপাড়া থানায় ধর্ষণ ও সহযোগিতার অভিযোগে তিনজকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একলাস হোসেন ও তার ভাই এরশাদ আলী এবং বোন ডলি খাতুনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর সাত্তার মোল্লা।
মামলার বিচার কাজ চলাকালে ওই কিশোরী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। বিষয়টি বাদী পক্ষ আদালতে অবহিত করে। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি একলাস হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদয়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।
একই সাথে একলাস হোসেনের ওরসে জন্ম নেয়া শিশু ২১ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তার ভরনপোষণের দায়িত্ব আসামি একলাস হোসেনেকে বহন করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ আছে। এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত একলাস হোসেন পলাতক রয়েছে।
অমৃত্ বাজার
সাজাপ্রাপ্ত একলাস হোসেন বাঘারপাড়ার দড়ি জাফরপুর গ্রামের জোহর আলীর ছেলে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন বিশেষ পিপি এম ইদ্রিস আলী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুল গ্রামের ওই শিশু তার মামা বাড়ি দড়ি জাফরপুর গ্রামের থেকে স্থানীয় স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে পড়তো। তার এক চাচাতো মামার ছেলে একলাস তাকে বিয়ে করবে বলে প্রায়ই প্রলোভন দেখাতো। এক পর্যায়ে একলাস তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরইমধ্যে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। একলাসকে বিয়ের জন্য সে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু একলাস তাকে বিয়ে করবে না বলে তাকে বাড়ি থেকে চলে বলে এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলতে বলে।
অবশেষে নিরুপায় হয়ে ওই কিশোরী তার পিতা-মাতাকে জানায়। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে ২০১২ সালের ১৩ জুলাই ওই কিশোরীর পিতা বাঘারপাড়া থানায় ধর্ষণ ও সহযোগিতার অভিযোগে তিনজকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একলাস হোসেন ও তার ভাই এরশাদ আলী এবং বোন ডলি খাতুনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর সাত্তার মোল্লা।
মামলার বিচার কাজ চলাকালে ওই কিশোরী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। বিষয়টি বাদী পক্ষ আদালতে অবহিত করে। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি একলাস হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদয়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।
একই সাথে একলাস হোসেনের ওরসে জন্ম নেয়া শিশু ২১ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তার ভরনপোষণের দায়িত্ব আসামি একলাস হোসেনেকে বহন করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ আছে। এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত একলাস হোসেন পলাতক রয়েছে।
অমৃত্ বাজার