
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এখন মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীর জন্য আশ্রয়, খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা করতে এ মুহূর্তেই অন্তত ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার দরকার - বলছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো।
ত্রাণ সংস্থাগুলোর বৈঠকে অংশ নেয়া জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’ এর কাছ থেকে আজ এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দু সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান ও সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২ লাখ ৯০ হাজার লোক বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, খুব অল্প সময়ে এত বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশ করায় তারা ত্রাণ দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
প্রতিদিনই আরো হাজার হাজার লোক আসছে- যাদের মধ্যে এক বড় অংশ নারী ও শিশু। এর আগে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর স্থাপিত দুটি শরণার্থী শিবির পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় এখন রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীরা নানা জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অর্থের প্রতিশ্রুতি মিললেও সমন্বিতভাবে উদ্যোগের একটি অভাব দেখা যাচ্ছে।
ইউএনএইচসিআর সহ বাংলাদেশের সবগুলো ত্রাণ সংস্থার প্রতিনিধিরা মিলে আজ পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য এক বৈঠকে বসে। এরপর ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা ভিভিয়ান ট্যান বলেন, ‘আগত শরণার্থীদের ত্রাণের জন্য এখনই তাদের অন্তত ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন।’
অন্যদিকে বিশ্বের ১৯০টি দেশে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট-এর প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশের রেড ক্রিসেন্ট। এর মহাসচিব মজহারুল হক বলছেন, তারা এর মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ ডলার সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন।
0 coment rios: