গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যশোর এলজিইডি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ৮ বছরে যশোর এলজিইডি প্রায় ২ হাজার কোটি টাক...
গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যশোর এলজিইডি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ৮ বছরে যশোর এলজিইডি প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৩শ' কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, প্রায় ৩ হাজার মিটার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ। এ ছাড়াও সড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, খাল খনন, সস্নুইচ গেট ও গাছ লাগানো, মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পও রয়েছে এই তালিকায়। যশোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, টেকসই ও সময়োপযোগী প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামীণ জনপদে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অগ্রগতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জীবিকা ও উন্নত জীবন ব্যবস্থা তথা মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এলজিইডি যশোর অফিস জানায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যশোর জেলায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি প্রকল্পের কাজ চলছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তা শেষ হবে। সূত্র জানায়, উলি্লখিত সময়ে যশোর জেলায় এলজিইডি মোট ৮৩৮ কিলোমিটার পল্লী সড়ক পাকা করেছে। আরও ৪৩৮ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ চলছে। এই প্রকল্পে ব্যয় প্রায় ৬৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে অন্যতম ৪৩ কি.মি. দীর্ঘ পুলেরহাট-রাজগঞ্জ-ত্রিমোহিনী-সাগরদাঁড়ী-কুমিরা সড়ক; ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কাশিপুর-মৌতা বাসস্ট্যান্ড থেকে বেনেয়ালী বাসস্ট্যান্ড ভায়া শিমুলিয়া সেন্টলুইস সড়ক; ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দত্তরাস্তা- নারিকেলবাড়িয়া সড়ক ইত্যাদি। একই সময়ে এই জেলায় মোট ১৬১০ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করেছে। আরও ১২৯০.১২ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছে। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ এসব সেতুর মধ্যে রয়েছে অভয়নগর উপজেলার ভাঙ্গাগেটে ভৈরব নদের উপর ৭০২.৫৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ, ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ নদের উপর ১০৫ মিটার ব্রিজ, মনিরামপুর খোর্দ্দ ঘাটে ১৬৮ মিটার ব্রিজ ইত্যাদি। কৃষি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূর করতে এই জেলায় ১.৬০ কিলোমিটার খাল খনন ও ৩টি সস্নুইস গেট নির্মাণ করে প্রায় ১৫৬৪ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্বরুপদাহ-ধুনারখাল, কাঠুরাকান্দি খাল ও খালঘাট-বসুন্দিয়া উপ-প্রকল্প। একই সঙ্গে ৩