যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে এনজিও’র ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে লিপি বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ...
যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে এনজিও’র ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে লিপি বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। ২১ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করেন তিনি। লিপি পাতিবিলা গ্রামের ভ্যানচালক ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তাদের ঘরে দুই সন্তান রয়েছে। ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এনজিও কর্মীদের দ্বারা অপদস্থ হওয়ায় লিপি অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে জানান তার প্রতিবেশীরা। নিহতের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানান, সাংসারিক খরচ ও মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য লিপি বেগম বিভিন্ন সময়ে একাধিক এনজিও থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সম্প্রতি তার শ্বশুর জমি বিক্রি করে কিছু টাকা পরিশোধ করে দেন। কিন্তু বাকি টাকার জন্য প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধিরা এসে চাপ দিতে থাকেন। সোমবার সকালে ও বিকেলে পৃথক তিনটি এনজিও’র কর্মীরা সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা নিতে লিপি বেগমের বাড়িতে যান। কিস্তির টাকা যোগাড়ে ব্যর্থ হওয়ায় এনজিওর মাঠকর্মীরা লিপিকে গালিগালাজ করেন। সে সময় এক এনজিও কর্মী লিপির নামে থানায় মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। এসব ঘটনায় অপমানিত হয়ে সন্ধ্যায় লিপি আত্মহত্যা করেন। লিপির কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজন বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে দেখেন তাকে ঝুলে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। মঙ্গলবার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে বলে জানান জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার কল্লোল কুমার সাহা। এ ঘটনায় ওই এনজিও কর্মী এবং ওই এনজিও’র প্রতি সাধারণ মানুষের চরম বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার রুস্তম আলী দাবি করেন। চৌগাছা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)) জসিম উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লিপির মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রিয় ডট কম