নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টান্ন তৈরি করায় যশোর সদরের চৌরাস্তার মোড় এলাকার গনেশ সুইটসকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করার ১১ দিনের মাথায় একই অপরাধে ধরা খেলো আরএনরোড বস্তাপট্টি এলাকার নামকরা আরেকটি মিষ্টির দোকান সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারী। কোনো প্রকার আইনকানুন না মেনে মিষ্টান্ন সামগ্রী তৈরি করার অপরাধে শনিবার দ- দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীর কারখানায় মিষ্টান্ন সামগ্রী তৈরি করা হয়। দই তৈরিতে পাউডার মিল্ক ব্যবহার করা হয়। বুন্দিয়াতে ব্যবহার করা হয় ক্ষতিকর রং। প্রতিষ্ঠানটিতে বিএসটিআই, পরিবেশের ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রও নেই। কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ছাড়পত্রটিও তারা গ্রহণ করেনি। অথচ প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় এসব ছাড়পত্র আবশ্যক। ফলে শহরের ওই প্রতিষ্ঠানের বিশ্বজিত ঘোষকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৩ ধারায় মামলা দিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আদালত ওই কারখানা থেকে ক্ষতিকর রং জব্দ করে ধ্বংস করেন এবং পাউডার মিল্ক দিয়ে দই তৈরি না করার পরামর্শ দেন। বিশ্বজিত ঘোষ বেজপাড়ার গোবিন্দ ঘোষের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সহযোগিতায় ছিলেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ। সাথে ছিলেন পেশকার জালাল উদ্দিন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পুলিশ সদস্যরা।
0 coment rios: