যশোরের বাঘারপাড়ায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা তাহের সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা এই হামলা...
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক টিএস আইয়ুব বলেন, ‘কিছু সন্ত্রাসী অফিসে হামলা চালিয়েছে।’ হামলাকারীরা দলের কেউ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করা হয়। যশোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলা আহ্বায়ক টিএস আইয়ুবসহ অন্য নেতারা যৌথভাবে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ তার সঙ্গে থাকা জেলা পর্যায়ের নেতারা কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে যশোর রওনা হন।
তারা জানান, নেতারা বাঘারপাড়া ছাড়ার পরপরই চৌরাস্তা মোড়ে আগে থেকে জড়ো হওয়া উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দেড় শতাধিক ব্যাক্তি মোড় থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ে চড়াও হয়। সেখানে অবস্থান করছিলেন বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক টিএস আইয়ুব অনুসারী দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মশিয়ুর রহমানকে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে হামলাকারীরা। খবর পেয়ে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাহের সমর্থকদের সরিয়ে দেয়। এর ১০-১৫ মিনিট পর দুই পক্ষের মধ্যে ফের ধাওয়া-পাল্টা হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে। এক পর্যায়ে তাহের সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ের দখল নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে টিএস আইয়ুব সমর্থকরা দলীয় কার্যালয় দখল নিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। তাহের সমর্থকরা বাজার ছাড়লে আইয়ুব সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিল বের করে। তারা স্থানীয় চৌরাস্তা মোড়ে সমাবেশও করে। এ সময় বাজারের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়।
Bangla Tribune