কয়েক বছর ধরে ভারতীয় গরু আসা অনেকটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যশোরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গরুর খামার। অধিকাংশ খামারি গরু পালনকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন...
কয়েক বছর ধরে ভারতীয় গরু আসা অনেকটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যশোরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গরুর খামার। অধিকাংশ খামারি গরু পালনকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাদের লক্ষ্য কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে মোটা অংকের লাভ। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, খামারগুলোতে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। গত ৩ বছর ধরে যশোরের সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ রয়েছে। দেশে গরুর মাংসের চাহিদা থাকায় যশোরে ৮টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠেছে ছোট বড় প্রায় ৯ হাজার খামার। প্রথমে শখের বশে খামার করলেও এখন গরু পালন ও মোটাতাজাকরণকে পেশা হিসেবে নিয়েছে বেকার ও অন্য পেশার মানুষরা। এসব খামারিরা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গত ৬ মাসের পরিচর্যায় মোটাতাজা করেছেন হাজার হাজার গরু। গরু খামারিরা বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খামারে বিনিয়োগ করেছি। আরেকজন খামারি বলেন, আগে ইটের ব্যবসা করতাম। তা বন্ধ হোয়ার পর গরুর ব্যবসা শুরু করি। কুরবানির সময় ভারতীয় গরু না আসলে মনে হয় না আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। এসব খামারে দিনরাত কাজ করছেন পশু চিকিৎসকসহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মীরা। তাদের দাবি, এ অঞ্চলের খামারগুলোতে ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই প্রাকৃতিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচেছ। তারা বলেন, খামারিরা মোটাতাজা করার জন্যে আমাদের কাছে যে পরামর্শ চায়। আমরা দেশীয় পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ নিরাপদ ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকি। কোরবানিতে যাতে নিরাপদ মাংস জনগণের কাছে পৌছে দিতে পারি সেই উদ্দ্যেশে কাজ করছি আমরা। ভারত থেকে গরু না আসলে আমরা আশা করছি খামারিরা লাভবান হবে। জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, খামারে যে পরিমাণ গরু পালন করা হয়েছে তাতে জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও সরবরাহ সম্ভব হবে।জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মত কৃষক গবাদি পশু উৎপাদন করছে। যদি ভারতীয় গরু না আসে তাহলে দেশে উৎপাদিত গরু দিয়েই চাহিদা মেটানো সম্ভব। প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, কোরবানির জন্য যশোরে ২৯ হাজার গরু ও ২৫ হাজার ছাগলের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে খামারগুলোতে ৩৫ হাজার গরু ও ৩২ হাজার ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে।
সময় টিভি