যশোর প্রতিনিধি: যশোরে বালুভর্তি ট্রাক ও একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাপস কুন্ডু (৩০) ও কায়েদী আজম বিশ্বাস (১৭) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সজল (১৭) নামে আরো এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে জেলার চুকনগর-মনিরামপুর সড়কের চালকিডাঙ্গা বাজারে।
আহত ও নিহতদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত তাপস কুন্ডু পিকআপের চালক। তিনি খুলনা ডুমুরিয়া থানার বরুনা গ্রামের বিনয় কুন্ডুর ছেলে।
অন্যদিকে, কায়েদী আজম একই এলাকার মাজিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি এবার স্থানীয় চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছেন। আহত সজল একই এলাকার মুজাফফর বিশ্বাসের ছেলে। তিনিও এবার চেচুড়িয়ার আন্তর্জাতিক কারিগরী বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে এসএসসি পাস করেছেন।
নিহতদের স্বজনরা জানান, কায়েদী আজমের মামা ফেরদৌস একটি বিস্কুট কোম্পানিতে কাজ করেন। তিনি তার ব্যবহৃত মালামাল ডুমুরিয়ার বাড়িতে পাঠানোর জন্য শুক্রবার ভোরে পিকআপ ভাড়া করে কায়েদী আজম ও তার বন্ধু সজলকে সঙ্গে নিয়ে যশোর যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী পিকআপটি মনিরামপুরের চালকিডাঙ্গা বাজারে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুভর্তি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই কায়েদী আজমের মৃত্যু হয় এবং পিকআপ চালক তাপস কুন্ডু ও সজল গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তাপসের মৃত্যু হয়।
সজলের অবস্থাও গুরুতর হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জহিরুল হক বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই কায়েদী আজমের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসারত অবস্থায় তাপসের হয়েছে। অনেক রক্তক্ষরণ ও মাথায় আঘাতজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আহত সজলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জহিরুল।
মনিরামপুর থানার এসআই ফিরোজ জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যেয়ে ট্রাক ও পিকআপটি জব্দ করে থানায় নিয়ে এসেছে।
0 coment rios: