ম্যানচেস্টারে এরিনা কনসার্ট হলে ‘সন্ত্রাসী হামলা’র পর এখনও অনেকে নিখোঁজ। বিশেষ করে শিশু ও টিনেজ অনেকের খোঁজ না পেয়ে তাদের পিতামাতা, আত্মীয়-স্বজন দিশেহারা। উপায় না পেয়ে তারা আশ্রয় নিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর। তাতে তাদের করুণ আকুতি ‘আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিন’। ওই হামলার পর পাশ্ববর্তী হলিডে ইন হোটেলে আশ্রয় হয়েছে ৫০টি শিশুর। তাদের সঙ্গে কেউ নেই। নিঃসঙ্গ ওইসব শিশুকে নিয়ে যেতে বা যোগাযোগ করতে পলা রবিনসন নামে এক নারী পোস্ট দিয়েছেন সামাজিক মিডিয়ায়।
তাতে তিনি বলেছেন, তার তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওইসব শিশু। তাদেরকে বুঝে নিতে অভিভাবকদের যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। এ জন্য একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন পলা রবিনসন। সেই নম্বরটি হলো ০৭৮৯৬৭১১২৯৮। পুলিশও উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের জরুরি কোন যোগাযোগ করতে একটি ফোন নম্বর দিয়েছে। এ নম্বরটি হলো ০১৬১৮৫৬৯৪০০।
সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডে গান শেষ করার পর পরই এরিনা কনসার্ট হলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় সেখানে চিৎকার, আর্তনাদের শব্দ শোনা যায়। নিমেষেই রক্তে রঞ্জিত হয় ওই কনসার্ট হল। ২১০০০ দর্শকের ধারণ ক্ষমতার ওই হলে উপস্থিত ছিল অনেক শিশু। তার মধ্যে কমপক্ষে ৫০টি শিশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে হলিডে ইন হোটেলে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। তাই অনলাইনে হ্যাশট্যাগ চালু করা হয়েছে।
এর নাম দেয়া হয়েছে #ManchesterMissing তাতে নিখোঁজ ব্যক্তি বা শিশুদের ছবি দিয়ে খোঁজ জানতে চাওয়া হচ্ছে। এতে এক নারী টুইট করেছেন, কনসার্ট উপভোগ করতে ম্যানচেস্টারে গিয়েছিল আমার ৬ বছর বয়সী ভাতিজি। হামলার পর তার বা তার পিতামাতার কোন সাড়াশব্দ পাইনি। ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে আছি। অবশ্য পরে তার ভাতিজিকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
তবে অন্যদের খুঁজে পেয়েছেন কিনা তা জানা যায় নি। এ রাতে বিপদে পড়া মানুষগুলোকে আশ্রয় দেয়ার জন্য নিজেদের দরজা খুলে দেয় ম্যানচেস্টারের জনগণ। এ জন্য সামাজিক মিডিয়ায় আরো একটি হ্যাশট্যাগ খোলা হয়। এর নাম দেয়া হয়
0 coment rios: