রাজধানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ বাসায় থাকা অবস্থায়ও তাকে না পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদের বক্তব্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ছেলে তার গুলশানের বাসাতেই ছিলেন।
গত শনিবার মামলা দায়েরের পরদিন তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক আবদুল মতিন বলেছিলেন, কয়েকবার বাড়িতে গিয়েও সাফাতকে পাননি তারা। সোমবার দুপুরে ও সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশের ডিবির উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম দুদফা বলেন, ধর্ষণের এই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
তবে এরপর রাত ৯টার দিকে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি বাসার বাইরে আছি। সাফাত বাসায় একটু আগেও ছিল।” পুলিশ তাকে না পাওয়ার কথা জানাচ্ছে- বলা হলে তিনি বলেন, “এখন সে বাসায় নেই। পুলিশ ওকে খুঁজছে বলে হয়ত কোথাও পালিয়ে গেছে।”
মাসখানেক আগের ঘটনার উল্লেখ করে ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী দিলদার। গত শনিবার বনানী থানায় মামলাটি দায়েরের পর এখনও পাঁচ আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আসামিদের মধ্যে সাফাত (২৬) ছাড়াও রয়েছেন একজন ঠিকাদারের ছেলে নাঈম আশরাফ (৩০), পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ (২৪)। বাকি দুই আসামির একজন সাফাতের দেহরক্ষী ও অন্যজন গাড়িচালক।
মামলার বাদী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেয়ে ২৮ মার্চ এক বান্ধবীসহ তিনি ‘দি রেইনট্রি’ হোটেলে গিয়েছিলেন। সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন। অন্য তিনজন তাতে সহায়তা করে।
আসামিদের চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন ডিবির উপ-কমিশনার নাজমুল; যে সংস্থাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি মামলাটির ছায়াতদন্ত করছে।
আসামিদের চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন ডিবির উপ-কমিশনার নাজমুল; যে সংস্থাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি মামলাটির ছায়াতদন্ত করছে।
0 coment rios: