ভারত সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সহযোগিতার সম্পর্ককে ‘নতুন উচ্চতায়’ নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনের মত বেশ কিছু অমীমাংসিত বিষয় এখনও রয়েছে, যার সমাধান প্রয়োজন।
তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের জনসাধারণের কল্যাণে সীমিত সম্পদ ভাগ করে নেওয়ার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুতে শেখ হাসিনা তার লেখা এক নিবন্ধে এ কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, 'বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব বহতা নদীর মতো এবং তা ঔদার্যে পূর্ণ'। দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণের এটাই মূল চেতনা। প্রতিশ্রুতি সৎ হলে দুই দেশের জনগণের কল্যাণে অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী তার নিবন্ধে লিখেছেন, 'একমাত্র শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে'। আমাদের মধ্যে কিছু অমীমাংসিত বিষয় আছে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, যে কোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব। স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের সদিচ্ছার প্রমাণ দিয়েছি। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের মত আরও কিছু বিষয় রয়ে গেছে, যেগুলো মেটানো প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশাবাদী মানুষ। আমি প্রতিবেশী দেশের নেতা ও জনগণের সদিচ্ছার ওপর আস্থা রাখতে চাই। আমি জানি, সম্পদের ঘাটতি রয়েছে, কিন্তু আমরা সেটুকুই দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ভাগ করে নিতে পারি। আমরা একই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ভাগ করে নিই। আমাদের অনেক কিছুতে সাদৃশ্য রয়েছে (অন্তত পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে)। আমরা লালন, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, জীবনানন্দ ভাগ করি, আমাদের ভাষাতে মিল রয়েছে, আমরা পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তার পানিতে পুষ্ট হই এবং আরও অনেক কিছু। সুন্দরবন আমাদের দুই দেশের গর্ব। এ নিয়ে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। তাহলে কেন অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে এই বাদানুবাদ?
শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ‘বিশেষ করে ২০০৯ সালের পর, যখন আমার দল ক্ষমতা গ্রহণ করে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হয়। রেল, সড়ক ও জলপথে কানেকটিভিটির ব্যাপক উন্নয়ন হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সর্বোচ্চ বাড়ে।
দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কও গতিশীল হয়। এ ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিতভাবে মানুষের উপকারে আসছে। সম্পর্ক, ব্যক্তিগত বা জাতীয় পর্যায়ে হোক, তা লেনদেনের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। মেক্সিকোর নোবেলজয়ী অক্টাভিও পাস বলেছেন, “বন্ধুত্ব হলো নদীর মতো।” আমি মনে করি, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব বহতা নদীর মতো এবং তা ঔদার্যে পূর্ণ।
দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণের এটাই মূল চেতনা। আমি মনে করি, প্রতিশ্রুতি যদি সৎ হয়, আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে সক্ষম হব, যাতে দুই দেশের জনগণ উপকৃত হবে। ভারতে চার দিনের সফরে আমি নিজে এবং আমার দেশের মানুষের পক্ষ থেকে, ভারতের জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই। আমি আশা করি, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক আমার সফরের মধ্য দিয়ে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
প্রসঙ্গত, চার দিনের সফরে আজ ভারতের দিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বিমানবন্দরে তাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাগত জানান। এ সফর উপলক্ষে দ্য হিন্দু শেখ হাসিনার লেখা বিশেষ নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে।
তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের জনসাধারণের কল্যাণে সীমিত সম্পদ ভাগ করে নেওয়ার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুতে শেখ হাসিনা তার লেখা এক নিবন্ধে এ কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, 'বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব বহতা নদীর মতো এবং তা ঔদার্যে পূর্ণ'। দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণের এটাই মূল চেতনা। প্রতিশ্রুতি সৎ হলে দুই দেশের জনগণের কল্যাণে অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী তার নিবন্ধে লিখেছেন, 'একমাত্র শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে'। আমাদের মধ্যে কিছু অমীমাংসিত বিষয় আছে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, যে কোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব। স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের সদিচ্ছার প্রমাণ দিয়েছি। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের মত আরও কিছু বিষয় রয়ে গেছে, যেগুলো মেটানো প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশাবাদী মানুষ। আমি প্রতিবেশী দেশের নেতা ও জনগণের সদিচ্ছার ওপর আস্থা রাখতে চাই। আমি জানি, সম্পদের ঘাটতি রয়েছে, কিন্তু আমরা সেটুকুই দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ভাগ করে নিতে পারি। আমরা একই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ভাগ করে নিই। আমাদের অনেক কিছুতে সাদৃশ্য রয়েছে (অন্তত পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে)। আমরা লালন, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, জীবনানন্দ ভাগ করি, আমাদের ভাষাতে মিল রয়েছে, আমরা পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তার পানিতে পুষ্ট হই এবং আরও অনেক কিছু। সুন্দরবন আমাদের দুই দেশের গর্ব। এ নিয়ে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। তাহলে কেন অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে এই বাদানুবাদ?
শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ‘বিশেষ করে ২০০৯ সালের পর, যখন আমার দল ক্ষমতা গ্রহণ করে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হয়। রেল, সড়ক ও জলপথে কানেকটিভিটির ব্যাপক উন্নয়ন হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সর্বোচ্চ বাড়ে।
দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কও গতিশীল হয়। এ ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিতভাবে মানুষের উপকারে আসছে। সম্পর্ক, ব্যক্তিগত বা জাতীয় পর্যায়ে হোক, তা লেনদেনের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। মেক্সিকোর নোবেলজয়ী অক্টাভিও পাস বলেছেন, “বন্ধুত্ব হলো নদীর মতো।” আমি মনে করি, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব বহতা নদীর মতো এবং তা ঔদার্যে পূর্ণ।
দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণের এটাই মূল চেতনা। আমি মনে করি, প্রতিশ্রুতি যদি সৎ হয়, আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে সক্ষম হব, যাতে দুই দেশের জনগণ উপকৃত হবে। ভারতে চার দিনের সফরে আমি নিজে এবং আমার দেশের মানুষের পক্ষ থেকে, ভারতের জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই। আমি আশা করি, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক আমার সফরের মধ্য দিয়ে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
প্রসঙ্গত, চার দিনের সফরে আজ ভারতের দিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বিমানবন্দরে তাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাগত জানান। এ সফর উপলক্ষে দ্য হিন্দু শেখ হাসিনার লেখা বিশেষ নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে।
0 coment rios: