ক্রমবর্ধমান নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের অন্যতম মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ।
দেশে নারী ও শিশু বান্ধব কঠিন আইন থাকা সত্ত্বেও দিন দিন আমাদের দেশে বেড়েই চলছে নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা । পরিবার থেকে শুরুকরে সমাজের প্রতিটি পর্যায়ে নির্যাতিত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। খুন, ধর্ষণ, পারিবারিক, সামাজিক কলহে নারী ও শিশু হত্যা হত্যার ঘটনার সঙ্গে বেড়ে গেছে আত্মহত্যার ঘটনাও।
২ মার্চ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পারিবারিক কলহের জেড়ে স্ত্রীকে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখে স্বামী। ৮ মার্চ কুষ্টিয়ার মিরপুরে কীটনাশক পান করিয়ে এক শিশুকে হত্যা করা হয়। ১২ মার্চ ঝালকাঠিতে এক পুলিশ কনস্টেবলের বাসায় শিশু গৃহকর্মী হত্যার অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের ফলে ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয় বরিশালে। ১০ মার্চ রংপুরে এনজিওর টাকা শোধ করতে না পেওে নিজ ৯ মাস বয়সী শিশুকে হত্যা করে আত্মঘাতী মা। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার নারী ও শিশু সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত মার্চ মাসে ২৩১ জন নারী- শিশু নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বেশীর ভাগ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঢাকা বিভাগে ঘটেছে। আর সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট সিগমা হুদা তিনি বলেন, অবিলম্বে সমাজের এ পরিস্থিতির পরিবর্তন না করা গেলে ভয়ংকর সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে দেশ ও জাতিকে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে শুধু সরকার নয়; সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলোকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা সোহেল বলেন, দিন দিন নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে ! এর প্রধান কারণ অপরাধীদের বিচার না হওয়া ও বিচার কার্য বিলম্বিত হওয়া। নারী নির্যাতনকারীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া, সামাজিক অনাচার বৃদ্ধি ও ভারসম্যহীনতা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারনে দিন দিন নারীর প্রতি এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, ও অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে ।
ফাতেমা ইয়াসমিন
কমিউনিকেশন এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (বিএমবিএস)
0 coment rios: