অর্থনৈতিক সংকটের জেরে খাদ্য ও ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তীব্র সঙ্কটে জর্জরিত লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা। চলছে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন। দেশটির সরকার যখন জনগণের নিত্যদিনের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকে মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়ার তথ্য যেন আগুনে ঘি ঢেলেছে।
গত ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে শপথ নেন ট্রাম্প। বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে আয়োজন করা হয় জমকালো অনুষ্ঠান। আর এ আয়োজন সফল করতে অনুদান দেন ধনকুবের ও বহুজাতিক কোম্পানির প্রতিনিধিরা। এ তালিকায় ছিল সমাজতান্ত্রিক দেশ ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানির মার্কিন সাবসিডিয়ারি শিটগো পেট্রোলিয়ামও।
মার্কিন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা নথি অনুযায়ী, ট্রাম্পের অভিষেক তহবিলে ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে শিটগো পেট্রোলিয়াম। এমন এক সময় এ তথ্য সামনে এলো যখন টানা ৩ দিন ধরে সরকার বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ভেনেজুয়েলা। বিক্ষোভের মুখে দুই শিক্ষার্থী এবং এক পুলিশ মৃত্যুর খবরও এসেছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জেরে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ। ২০১৪ সালের পরে সবচে বড় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এটা। মাদুরো সরকার যখন দেশটির জনগণের নিত্য দিনের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। তখন ট্রাম্পের তহবিলে মিলিয়ন ডলারে অনুদানের খবর বিক্ষোভে রসদ জুগিয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে সমালোচনা। বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভের মাত্রা।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জেরে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ। ২০১৪ সালের পরে সবচে বড় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এটা। মাদুরো সরকার যখন দেশটির জনগণের নিত্য দিনের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। তখন ট্রাম্পের তহবিলে মিলিয়ন ডলারে অনুদানের খবর বিক্ষোভে রসদ জুগিয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে সমালোচনা। বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভের মাত্রা।
রাজধানী কারাকাসের আইইএসএ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক পলিসির অধ্যাপক জোসে ম্যানুয়েল পুয়েন্টে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ৪ বছর ধরে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার মধ্যে আছি। বিশ্বের বুকে আমাদের মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চরম সংকট চলছে। জনগণকে ক্ষুধার্ত রেখে ট্রাম্পের অভিষেকে অর্থ দান করা হয়েছে। এটা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। রাষ্ট্রীয় মতাদর্শ বিরোধী কাজ।’
এর আগেও ভেনেজুয়েলার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের আমলে রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়েছিল শিটগো পেট্রোলিয়াম। এবার প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের মাঝেই কোম্পানিটির ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হল।
চলমান বিক্ষোভের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে বলে মনে করছেন মাদুরো। তাই দেশটিতে বিদ্যমান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অটোমোবাইল জায়ান্ট জেনারেল মটরসের (জিএম) কারখানাসহ সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার মতে, ভেনেজুয়েলায় সমাজতান্ত্রিক সরকারের অস্তিত্ব দেখতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। তাই তার সরকারের পতনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ক্রমাগত ঘৃণা ছড়াচ্ছে।
0 coment rios: