চার দিনের সরকারি সফর শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
এর আগে ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে পাঁচটায় নয়াদিল্লীতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পালাম স্টেশন ত্যাগ করে।
প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে পালাম স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ভারী শিল্প ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা।
চার দিনের সফরে গত শুক্রবার দিল্লি পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে তিস্তা চুক্তি না হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের বর্তমান সরকারের সময়েই তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
সফরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে হায়দরাবাদ হাউসের বলরুমে বৈঠক শেষে ঢাকা ও নয়াদিল্লীর মধ্যে ৩৪টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। শেখ হাসিনা ব্রিটিশ শাসিত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা মহাত্মা গান্ধীর রাজঘাটস্থ সমাধিতে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
দুই প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের আত্মজীবনীমূলক বই ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী-এর হিন্দি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি সম্মান জানান।
প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানে আজমীর শরীফে যান এবং খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন।
শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের রাষ্ট্রপতির দেয়া নৈশভোজে অংশ নেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেয়া এক ভোজসভায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত তাকে দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন এবং নয়াদিল্লীতে এক বিজনেস অনুষ্ঠানেও অংশ নেন।
0 coment rios: