সারা দেশের সাথে একযোগে যশোরেও পালিত হয়েছে ১৯৭১ সালের ২৫মার্চ ভয়াল
কালরাত স্মরণ ও গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
এবারই প্রথম সরকারিভাবে ‘উদয়ের পথে শুন কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই,
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’ এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে এ
গণহত্যা দিবস পলিত হয়।
৪৫ বছর আগে ১৯৭১ সালের ২৫মার্চ মধ্যরাতে জাতির জীবনে নেমে এসেছিল এক ভয়াল কাল রাত। সেদিন পাকিস্তানী সশস্র বাহিনীর বর্বর উন্মাদনায় রচিত হয়েছিল এক কালো অধ্যায়। অন্য সব রাত থেকে বাঙালী জাতির ইতিহাসে এ রাত এক চিরস্মরণীয় বিভিষিকাময় রাত। এ রাতে বর্বর পাক সেনারা অতর্কিতে হামলা করে নিহত করেছিল অগনিত নিরীহ বাঙালীকে। পাকিস্তানী বর্বর সেনা বাহিনী এদিন নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল ১০ হাজারেরও বেশি নিরীহ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালীকে।
সেদিনের সেই কালরাত স্মরণে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে শহীদ হওয়া বাঙালীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ২৫ মার্চ ভয়াল কাল রাত স্মরণে যশোরে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে সহস্রাধিক মোমবাতি প্রজ্জ্বালন ও আলোর মিছিল বের হয়।
যশোর জেলা প্রশাসন ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বালনসহ আলোচনা, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয় সেদিনের বীর শহীদদের।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ সমবেত গানের সাথে প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে আলোকযাত্রার মধ্য দিয়ে ভয়াল কালরাত স্মরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক ডক্টর হুমায়ুন কবীর, জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জাসদের কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এড. রবিউল আলম, সংবাদপত্র পরিষদ যশোরের সভাপতি একরাম উদ দ্দৌল্লা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপতি হারুণ অর রশীদ, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, জেলা মহিলা পরিষদের সাংধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এরপর আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান। আলোচনা করেন যশোর-৩ সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক ডক্টর হুমায়ুন কবীর, জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার রায় ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু।
আলোচনার আগে ও পরে ভয়াল কাল রাত স্মরণে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ গণসংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। গণসংগীত পরিবেশনার পর মুক্তিযোদ্ধা মহিবুল ইসলামকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
শেষে বিবর্তন যশোরের প্রযোজনায় ‘আলোকযাত্রা’ ও শেকড় যশোরের প্রযোজনায় ‘যশোর রোড’ ম স্থ হয়।
এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়।
উল্লেখ্য ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘ গণহত্যা দিবস পালন করে। এ দিবস পালনের পেছনে বড় কোনো যুক্তি নেই। কিন্তু ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে আমাদের যুক্তি ঐতিহাসিক এবং প্রবল। বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রে এক রাতে যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়াই এতো নাগরিক হত্যার নজির নেই।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকান্ডের জন্য ২৫ মার্চ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর আগে গত ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাবও গৃহীত হয়।
৪৫ বছর আগে ১৯৭১ সালের ২৫মার্চ মধ্যরাতে জাতির জীবনে নেমে এসেছিল এক ভয়াল কাল রাত। সেদিন পাকিস্তানী সশস্র বাহিনীর বর্বর উন্মাদনায় রচিত হয়েছিল এক কালো অধ্যায়। অন্য সব রাত থেকে বাঙালী জাতির ইতিহাসে এ রাত এক চিরস্মরণীয় বিভিষিকাময় রাত। এ রাতে বর্বর পাক সেনারা অতর্কিতে হামলা করে নিহত করেছিল অগনিত নিরীহ বাঙালীকে। পাকিস্তানী বর্বর সেনা বাহিনী এদিন নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল ১০ হাজারেরও বেশি নিরীহ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালীকে।
সেদিনের সেই কালরাত স্মরণে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে শহীদ হওয়া বাঙালীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ২৫ মার্চ ভয়াল কাল রাত স্মরণে যশোরে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে সহস্রাধিক মোমবাতি প্রজ্জ্বালন ও আলোর মিছিল বের হয়।
যশোর জেলা প্রশাসন ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বালনসহ আলোচনা, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয় সেদিনের বীর শহীদদের।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ সমবেত গানের সাথে প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে আলোকযাত্রার মধ্য দিয়ে ভয়াল কালরাত স্মরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক ডক্টর হুমায়ুন কবীর, জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জাসদের কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এড. রবিউল আলম, সংবাদপত্র পরিষদ যশোরের সভাপতি একরাম উদ দ্দৌল্লা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপতি হারুণ অর রশীদ, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, জেলা মহিলা পরিষদের সাংধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এরপর আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান। আলোচনা করেন যশোর-৩ সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক ডক্টর হুমায়ুন কবীর, জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার রায় ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু।
আলোচনার আগে ও পরে ভয়াল কাল রাত স্মরণে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ গণসংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। গণসংগীত পরিবেশনার পর মুক্তিযোদ্ধা মহিবুল ইসলামকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
শেষে বিবর্তন যশোরের প্রযোজনায় ‘আলোকযাত্রা’ ও শেকড় যশোরের প্রযোজনায় ‘যশোর রোড’ ম স্থ হয়।
এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়।
উল্লেখ্য ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘ গণহত্যা দিবস পালন করে। এ দিবস পালনের পেছনে বড় কোনো যুক্তি নেই। কিন্তু ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে আমাদের যুক্তি ঐতিহাসিক এবং প্রবল। বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রে এক রাতে যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়াই এতো নাগরিক হত্যার নজির নেই।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকান্ডের জন্য ২৫ মার্চ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর আগে গত ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাবও গৃহীত হয়।
0 coment rios: