রাজধানীর গাবতলীতে পরিবহণ শ্রমিকদের অবরোধের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। পুলিশের রেকার, ট্রাফিক বক্স, ফাঁড়ি ভা...

রাজধানীর গাবতলীতে পরিবহণ শ্রমিকদের অবরোধের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। পুলিশের রেকার, ট্রাফিক বক্স, ফাঁড়ি ভাঙচুর ও যানবাহন পুড়িয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২ মামলা ও এক নারী একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ ও বাকি শ্রমিকদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) রাতে রাজধানীর দারুসসালাম থানায় মামলা তিনটি দায়ের করা হয়।
এসআই বিশ্বজিৎ পাল ও এসআই জোবায়ের বাদী হয়ে দারুস সালাম থানায় পেনাল কোড আইনে ৪৬ জনের নাম উল্লেখসহ বাকিদের আসামি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, তাইজুল ইসলাম তাজু (৪৮), আবুল হাসেম (৪৫), সামছুল আলম (৪২), আহাম্মেদ আলী (৬০), আবদুল সাত্তার (৪১), নসু (৪৫), আবদুল বাশার (৪৭), কালাম মুন্সী (৪৫) জুলজার (৪২), হাজী সুলতান(৪৭) নাচির উদ্দিন (৪৩), রোকমান ফরায়জী (৪৪), কালাম (৪০), আবু বক্কর (৪২), ইউসুফ (৪৫), জজ মিয়া (৪৭), জামাল (৪৩), নুরুল ইসলাম (৪২) ফারুক হোসেন (৪৪) মঞ্জু মিয়া (৪২), মিলন (৪১), মোবারক হোসেন (৪৪), রাজিব হোসেন (৪০), শাহ আলম (৪২), হাবিব সিকদার (৪৫), সিদ্দিকুর রহমান (৪৭)।
এছাড়াও, কাওসার আহম্মেদ (৪৪), মাহবুবুর রহমান (৪২), সাদেক হোসেন ওরফে তুফান (৪৮), শহর আলী (৪৫), বশির আহম্মেদ (৪২), হাজী আবু তালেব (৪৫), লাট মিয়া ৯৪৫), দুলাল(৪১), শামীম আহম্মেদ ওরফে সালাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম ওরফে বকুল (৪৫), পারভেজ খান (৪২), আবু মিয়া (৪২), আওলাদ হোসেন (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৪২), হাবিবুল্লাহ (৪২), জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫), শফিউল্লাহ (৪২), সিদ্দিক হোসেন (৪৫), ইব্রাহিম খলিল (৪২), সুমন(৪৮)।
অবরোধের সময় শ্রমিকদের লোহার রডের আঘাতে আহত সুজন (১২) নামের এক কিশোরের মা ফেরদৌসি বেগম(৩০) ১৪৭ ধারায় দারুস সালাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় সম্প্রতি আদালত মানিকগঞ্জে বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন ও সাভারের আরেক ট্রাক চালককে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এ রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে বিনা ঘোষণায় আকস্মিক ধর্মঘট পালন শুরু করে পরিবহন শ্রমিকরা।
বুধবার দফায় দফায় সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের সংঘর্ষ নতুন মাত্রা পায়। এক পর্যায়ে আমিন বাজার সেতুর দক্ষিণ দিক থেকে মাজার রোডের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকার অন্যতম প্রধান এই প্রবেশ পথে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও রেহায় পায়নি।