প্রায়ই যুবকটাকে দেখা যেত ব্রাউনাউ-এ হিটলারের বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করতে। বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। শুরু হয় নজরদারি। ১৮৮৯ সালে এই ...
প্রায়ই যুবকটাকে দেখা যেত ব্রাউনাউ-এ হিটলারের বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করতে। বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। শুরু হয় নজরদারি। ১৮৮৯ সালে এই বাড়িতেই জন্ম হয়েছিল হিটলারের। বর্তমানে এই বাড়ির মালিক এবং সরকারের মধ্যে আইনি লড়াইও চলছে। কারণ, পরিত্যক্ত বাড়িটিতে নব্য নাৎজিদের আনাগোনা এবং গোপন বৈঠক হচ্ছে বলে অস্ট্রিয়া পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের খবর। ফলে, এই বাড়িটি ঘিরে নব্য নাৎজিরা যেন সক্রিয় না হয়ে ওঠে তার জন্য কড়া নজরদারি রয়েছে। আর সেই মুহূর্তেই এই রহস্যময় যুবকের আনাগোনায় আরও বেশি করে তৎপর হয় পুলিশ।
শেষমেশ এই যুবককে জেরার জন্য আটক করে পুলিশ। এবং এরপরই অবাক হওয়ার পালা। বছর ছাব্বিশের এই যুবক নিজের চেহারাকে হুবহু হিটলারের মতো করে সাজিয়েছে। হিটলারের সেই বিখ্যাত ‘বাটারফ্লাই মুসটাচ’-এর ঢঙেই সে গোঁফ রেখেছে। এমনকী, হিটলারের মতো করে মাথার চুলও আচড়ানো। পরনের পোশাকও হিটলারের চিরপরিচিত মিলিটারি পোশাকের মতো দেখতে। পুলিশি জেরায় ওই যুবক তাঁর নাম জানায় হ্যারল্ড হেরঞ্জ।

কী কারণে হ্যারল্ড এই হিটলারের মতো সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছিল? এর কোনও সদুত্তর নাকি দিতে পারেননি। হিটলারের নাম শুধু মুখে আনাই নয় তাঁর মতো করে সেজে ঘুরে বেড়ানো থেকে নাৎজিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোও অস্ট্রিয়াতে নিষিদ্ধ। এতে নাৎজি উন্মাদনাকে উস্কে দেওয়া হয় বলে বিশ্বাস করে অস্ট্রিয়া সরকার। ফলে, নাৎজিদের নিয়ে চর্চা এবং হিটলারের কথা বা তাঁর মতো সেজে ঘুরে বেড়ানোতে জেলেও পচতে হতে পারে। হ্যারল্ডের ভাগ্যে এখন সেরকম কিছু আছে কি না তা দেখার।