
বাগেরহাটের শরণখোলায় বাবা-মাকে কুপিয়ে ফিল্মি স্টাইলে এক অনার্স পড়ুয়া ছাত্রীকে অপহরণ করেছে সাবেক স্বামীর বাড়ির লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা বাবা-মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলা সদরের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শান্তা উপজেলা সদর সংলগ্ন খালের বিপরীত পাড়ের রাজৈর এলাকার দুলু গাজীর মেয়ে। তিনি পিরোজপুরের মহিলা কলেজের কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সচেতন নাগরিক কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ সামবেশ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করতে যায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর আকন ও তার ছেলে সজিব আকনসহ অন্তত ২০/২১ দুর্বৃত্ত। পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে তার বাবা-মাকে রাম দা দিয়ে মাথায়, পিঠে, মুখেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে।
এরপর ওই সান্তার মুখবেঁধে বাড়ি সংলগ্ন খাল দিয়ে ট্রলারে করে নদীর দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় দুর্বৃত্তরা নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২০/২৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য সবুর আকনের মোবাইলে বারবার চেষ্টা করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর বাবা দুলু গাজী যুগান্তরকে জানান, ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি শান্তার সঙ্গে রায়েন্দা বাজারের বাসিন্দা সবুর আকনের ছেলে সজিব আকনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন শান্তার ওপর নির্যাতন শুরু করে। পরে ১০ মাসের মাথায় স্বামী সজিবকে ডিভোর্স দেন শান্তা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা ও পাল্টা মামলা হয়।
তিনি জানান, সজিব গংদের দায়েরকৃত মামলা দুটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়ে ও তাকে শায়েস্তা করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে সজিব ও তার বাবা সবুর আকন।
শরণখোলার থানার ওসি আবদুল জলিল যুগান্তরকে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠিয়ে বলেশ্বর নদীসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। অপহৃতকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
0 coment rios: