গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা নুরুল ইসলাম মারজান ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার খবর শুনে তার বাবা মো. নাজিম ...

গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা নুরুল ইসলাম মারজান ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার খবর শুনে তার বাবা মো. নাজিম উদ্দিন এবং মা সালমা খাতুন বলেছেন, মারজান তার কর্মের ফল পেয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর রায়েরবাজারে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুর্ধর্ষ এ জঙ্গির মৃত্যু।

এদিকে মারজান নিহতের খবরে তার গ্রামের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার আফুরিয়ায় পাটকিয়া এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। পাবনার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মো. নাজিম উদ্দিন এবং সালমা খাতুনের ১০ সন্তানের মধ্যে মারজান ৪র্থ সন্তান।
মারজানের বাবা-মা বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মারজান তার কর্মের ফল পেয়েছে। বাবা মা হিসেবে সন্তানের মৃত্যুর খবরে কষ্ট পেলেও অন্য সন্তানদের কথা ভেবে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। আল্লহ যেন এ রকম সন্তান কাউকে না দেয়।’
নাজিম বলেন, ‘তার ছেলে আফুরিয়া পাটকিয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উচ্চ বিদ্যায় থেকে পাশ করার পর পাবনার আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করে। এর পর সে দীর্ঘদিন পাবনার বাশবাজার মসজিদে মক্তব বিভাগে ছাত্রছাত্রী পড়াতো। মারজান নিজেও অত্যন্ত মেধাবি এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সে কয়েকবার প্রথম হয়েছে।
তারা জানান, এক বছর আগে ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুরে আপন খালাতো বোন প্রিয়তিকে বিয়ে করে মারজান। এরপর থেকে মারজান স্ত্রীসহ কোথায় আছে তা তারা জানে না। মারজানের বাবা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘এমন ছেলের দায়িত্ব আমরা নিতে চায় না।’
এলাকাবাসী জানায়, পাবনার হেমায়েতপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ঘাটি হিসেবে পরিচিত। গত বছরের আগস্ট মাসে মারজানের বাড়ি পাবনায় এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পুলিশ ১৫ আগস্ট রাতে মারজানের বাবাকে আটক করে।
পাবনা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর জানান, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বিষয়টি তদারকি করায় তারা খুব বেশি জানতে পারেনি। তবে বন্দুকযুদ্ধে সঙ্গীসহ সে নিহত হয়েছে।