
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তার লাইফস্টাইল, দৈনন্দিন রোজনামচা কেমন, কীভাবে কাটবে তার আগামী দিনগুলো- এসব জল্পনা-কল্পনা এখন বিশ্বজুড়ে। তিনি কোথায় থাকবেন, কোন বিমান ব্যবহার করবেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা৷ এ নিয়েই রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য এ আয়োজন।
সোনায় মোড়ানো ট্রাম্পের বিমান: নিউ ইয়র্কের ফিফথ অ্যাভিনিউতে অবস্থিত ট্রাম্প টাওয়ারের ৫৮ তলার যে অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেটি তার খুবই প্রিয়৷ এতটাই প্রিয় যে, নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় শুধুমাত্র নিজের বিছানায় ঘুমাবেন বলে কখনো কখনো অনেক দূর থেকে নিজের প্লেনে করে কয়েক ঘণ্টা উড়ে নিউ ইয়র্কে ফিরে যেতেন ট্রাম্প৷ তাই প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসে তিনি উঠবেন কিনা, উঠলেও কয় রাত তিনি সেখানে কাটাবেন, তা নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে৷এই আলোচনায় ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বিমানের কথাও উঠে আসছে৷
২০১১ সালে ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করে ‘বোয়িং ৭৫৭` বিমান কেনার পর নিজের ব্যবহারের জন্য অভিজাত করে সাজিয়েছেন৷ বিমানটিকে আদর করে তিনি ‘টি-বার্ড` নামে ডাকেন৷ তবে নির্বাচনে জেতার পর থেকে অনেকে একে ‘ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান` নামে ডাকছেন৷ ট্রাম্পের বিমানে নিজস্ব অফিস রয়েছে, আছে দু`টি বেডরুম৷ ইঞ্জিন বানিয়ে দিয়েছে রোলস রয়েস কোম্পানি৷ আছে গোল্ড-প্লেটেড সিটবেল্ট৷ আরো আছে ৫৭ ইঞ্চি পর্দার হোম সিনেমা৷
নির্বাচনি প্রচারণার সময় ট্রাম্প এয়ারফোর্স ওয়ান-এর সমালোচনা করেছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ঐ বিমানে পুরনো ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়৷ ফলে সেটি বেশি পরিবেশ দূষণ করে৷
ওবামার জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ওবামা কার্বন ফুটপ্রিন্ট নিয়ে কথা বলেন, তারপর পুরনো ৭৪৭ (এয়ারফোর্স ওয়ানের মডেল), যেটি পুরনো ইঞ্জিন দিয়ে চলে, বিমানে করে ছুটি কাটাতে হাওয়াই যান৷`
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিলাসবহুল বাড়ি: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ট্রাম্প একজন ধনকুবের ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত । আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে ম্যানহাটানে তিনি অভিজাত গ্র্যান্ড হায়াত হোটেল ও ৬৮তলা ভবন ট্রাম্প টাওয়ার গড়ে তোলেন। ভবনটি নিউ ইয়র্কের কেন্দ্রস্থলে সেন্ট্রাল পার্ক এর পাশেই অবস্থিত।
এ ছাড়া আরো অনেক বিখ্যাত ভবন গড়ে তোলেন নিজের নামে। যার মধ্যে ট্রাম্প প্লেস, ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ার, ট্রাম্প ইন্টারন্যাশানাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ার খুবই পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে মুম্বাই, ইস্তানবুল এবং ফিলিপিন্সেও তিনি তৈরি করেছেন ট্রাম্প টাওয়ার।
টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিংহাসনের মত রাজকীয় চেয়ারে ট্রাম্পের বসে থাকার ছবিকে অনেকে রাশিয়ার জার বা সাদ্দাম হোসেনের সাথে তুলনা করেছেন। ট্রাম্প টাওয়ার ভবনের তিনটি ফ্লোর নিয়ে তার অ্যাপার্টমেন্ট। এর ৬৬, ৬৭, এবং ৬৮ তলা জুড়ে এই ট্রিপলেক্স ফ্ল্যাটে থাকেন ট্রাম্প তার স্ত্রী মেলানিয়া ও ছেলে ব্যারন। ট্রাম্পের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন বারবারা রেস। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে জারের উইন্টার প্যালেস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ট্রাম্প তার নিউইর্কের আ্যাপার্টমেন্টটি নতুন করে সাজান।
ভিডিও দেখুনঃ ট্রাম্পস বিমান
0 coment rios: