
ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার পরে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সেই চা ওয়ালাকে খুঁজে বার করে। তখনই জানা যায় তাঁর নাম-ধাম আর তখনই রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে ওঠেন আরশাদ। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি চ্যানেলগুলিতে সম্প্রচারিত হয়েছে তাঁর সাক্ষাৎকার। জুটে গিয়েছে মডেলিং অ্যাসাইনমেন্টও। অথচ আফগান-সীমান্তবর্তী এলাকায় জন্ম এই চায়ওয়ালা জীবনে কখনও স্কুলে পড়েননি। অভাবের তাড়নায় অল্প বয়স থেকেই তাঁকে কাজে নামতে হয়।
এখন বয়স মাত্র ১৮ বছর কিন্তু তাঁর অ্যাপিল এতটাই যে টুইটারে তাঁকে ভারতের মেয়েদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র বলেও মশকরা করা হয়েছিল। এ সবই একমাস আগের কথা। সম্প্রতি একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন আরশাদ। পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘লিল মাফিয়া মুন্দির’-এর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ভিডিও সং ‘চায়ওয়ালা’-তে সিড মিস্টার র্যাপার ও ডিজে ড্যানির সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভিডিওর মূল ফোকাস কিন্তু তাঁকে নিয়েই অর্থাৎ এমন একজন চায়ওয়ালা, যিনি সামনে থাকলে সেলিব্রিটিদেরও পাত্তা দেয় না মেয়েরা বরং সেলফি তুলতে চায় চায়ওয়ালার সঙ্গেই।
না হয় মিউজিক ভিডিও দিয়েই শুরু হল বিনোদন জগতে যাত্রা, মন্দ কী?ভাগ্যিস ফোটোগ্রাফার জিয়া আলি ছবিটি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। জীবনটাই পাল্টে গিয়েছে আরশাদের। সম্প্রতি আবার লাহোরে অনুষ্ঠিত ব্রাইডাল কুতুর উইকে একটি ব্রিটিশ ব্র্যান্ডের জন্য র্যাম্পেও হেঁটেছেন আরশাদ, শোস্টপার হিসেবে। জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়ার পরে জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষাও বদলে গিয়েছে তাঁর। লাইমলাইটে আসার আগে ভাবতেন চা-দোকান থেকে বড়জোর ছোটখাটো ব্যবসা করবেন, বিয়ে-থা করে সংসার পাতবেন। কিন্তু এখন তাঁর চোখে অনেক বড় বড় স্বপ্ন। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে সুযোগ পেলে সিনেমায় অভিনয় করতে চান তিনি।
সুত্রঃ এবেলা
0 coment rios: