মাত্র ছয় বছরে যশোর কালেক্টরেট স্কুলের চেহারা আমূল বদলে গেছে। পুরোনো আমলের একটি ভাঙা দোতলা বিল্ডিং দিয়ে শুরু হলেও এখন স্কুলটির রয়েছে জেলা...
মাত্র ছয় বছরে যশোর কালেক্টরেট স্কুলের চেহারা আমূল বদলে গেছে। পুরোনো
আমলের একটি ভাঙা দোতলা বিল্ডিং দিয়ে শুরু হলেও এখন স্কুলটির রয়েছে জেলার
অন্য যেকোনো স্কুলের চেয়ে নয়নাভিরাম আধুনিক একাডেমি ভবন। পরিবর্তন এসেছে
আরও অনেক ক্ষেত্রে। আর এসব সম্ভব হয়েছে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস
লিমিটেডের চেয়ারম্যান শিল্পপতি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর কল্যাণে।
স্কুলটি কতিপয় বিদ্যোৎসাহী সদস্যের একান্ত পরিশ্রমের ফল। যশোর কালেক্টরেটের কর্মচারীদের আকাক্সক্ষার বিষয়টি ২০০৯ সালে তখনকার জেলা প্রশাসক মহিবুল হক অবহিত হন। তাঁর বিচক্ষণতায় ২০১০ সালের জানুয়ারিতে অল্প পরিসরে নার্সারি থেকে প্রথম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস দিয়ে শুরু। এরপর ২০১২ সালে সেটা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত হয়। ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমানের প্রচেষ্টায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি পায় প্রতিষ্ঠানটি। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে বিদ্যালয়ের সব ক্লাসে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান শুরু হয়।
২০১৪ সালের শেষের দিকে যশোরে জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শিক্ষাবান্ধব ডিসিখ্যাত ড. হুমায়ুন কবীর। তিনি অন্য জেলা প্রশাসকদের দেখানো পথে হাঁটতে শুরু করেন। বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় প্রতিষ্ঠা করেন একটি কম্পিউটার ল্যাব; যার নামকরণ করা হয় ‘ড. হুমায়ুন কবীর কম্পিউটার ল্যাব’। একে একে এখানে গড়ে ওঠে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব।
বিদ্যালয়ের অভূতপূর্ব উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। আর চাহিদা হয় অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে স্কুলের অধ্যক্ষ সুলতান আহমদ ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে যান। ডিসিকে তিনি জানান চতুর্থ তলার কাজ সম্পন্ন এবং নতুন আরেকটি ভবন নির্মাণের কথা। ডিসি জানতে চান দু-একজন দানশীল ব্যক্তির নাম। অধ্যক্ষ উত্থাপন করেন রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি শিক্ষা ও ক্রীড়ানুরাগী নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর নাম। এরপর কোনো এক সময় জেলা প্রশাসক তাঁকে বিদ্যালয়ের চতুর্থ তলা নির্মাণের বিষয়টি উত্থাপন করেন। দেরি না করেই সানন্দে নাসের শাহরিয়ার সেখানে ৫০ লাখ টাকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
এর পরের কাহিনি ইতিহাস। ক্যাম্পাসে নয়নাভিরাম একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের হাতে প্রথম চেক তুলে দেন নাসের শাহরিয়ার। ২০১৫ সালের ৩ মে শুরু হয় ‘জাহানারা হুদা একাডেমিক ভবন’ নির্মাণের কাজ। পাঁচতলাবিশিষ্ট এই সুন্দর একাডেমিক ভবনটি গত ৯ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়। যার প্রাথমিক বাজেট ধরা হয় প্রায় তিন কোটি টাকা। ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যশোরের গুণী মানুষের ব্যাপক সমাগম ঘটে। স্কুলের অডিটরিয়ামে তিল ধারণের জায়গা ছিল না সেদিন।
বেলুন উড়িয়ে আর ফিতা কেটে ভবনের উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহেদী ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জাহিদ হোসেন মুসা, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি রুনা লায়লা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মোনাস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কামরুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে অতিথিরা স্কুলের কার্যক্রম ও একাডেমিক ভবন নির্মাণে সহায়তাকারীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, শিক্ষায় বিনিয়োগই শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, মসজিদে দান করার লোকের অভাব নেই। কিন্তু সমাজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য দান করার মানুষের বেশ সংকট। তিনি বলেন, সমাজকে আলোকিত করে তুলতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
স্মৃতি রোমন্থন করে জাহেদী ফাউন্ডেশনের সভাপতি জাহিদ হোসেন মুসা বলেন, ১৯৫১ সালে যশোরের এসডিওর এই বাংলো আজ পাঁচতলা ভবনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-ভাবতেই আনন্দে মন ভরে যায়। তিনি আরও বলেন, ‘অশিক্ষা, রোগব্যাধি আর শত্রু-এই তিনটির শেষ নেই। দুনিয়া যত দিন থাকবে, এই তিনটির বিরুদ্ধে লড়াই করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে আগামীর পথে।’ তিনি পুঁথিগত শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যয় হবে আগামীতে আরও ভালো কী কাজ করতে পারি, তাই নিয়ে ভাববার।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভালো মন, ভালো স্বপ্ন আর একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা থাকলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব।’
উল্লেখ্য, শুধু একাডেমিক ভবন নির্মাণে সহায়তাই নয়, শাহরিয়ার জাহেদী এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ‘নাহিদা আকতার জাহেদী মেধা বৃত্তি’ও চালু করেছেন।
স্কুলটি কতিপয় বিদ্যোৎসাহী সদস্যের একান্ত পরিশ্রমের ফল। যশোর কালেক্টরেটের কর্মচারীদের আকাক্সক্ষার বিষয়টি ২০০৯ সালে তখনকার জেলা প্রশাসক মহিবুল হক অবহিত হন। তাঁর বিচক্ষণতায় ২০১০ সালের জানুয়ারিতে অল্প পরিসরে নার্সারি থেকে প্রথম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস দিয়ে শুরু। এরপর ২০১২ সালে সেটা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত হয়। ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমানের প্রচেষ্টায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি পায় প্রতিষ্ঠানটি। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে বিদ্যালয়ের সব ক্লাসে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান শুরু হয়।
২০১৪ সালের শেষের দিকে যশোরে জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শিক্ষাবান্ধব ডিসিখ্যাত ড. হুমায়ুন কবীর। তিনি অন্য জেলা প্রশাসকদের দেখানো পথে হাঁটতে শুরু করেন। বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় প্রতিষ্ঠা করেন একটি কম্পিউটার ল্যাব; যার নামকরণ করা হয় ‘ড. হুমায়ুন কবীর কম্পিউটার ল্যাব’। একে একে এখানে গড়ে ওঠে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব।
বিদ্যালয়ের অভূতপূর্ব উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। আর চাহিদা হয় অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে স্কুলের অধ্যক্ষ সুলতান আহমদ ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে যান। ডিসিকে তিনি জানান চতুর্থ তলার কাজ সম্পন্ন এবং নতুন আরেকটি ভবন নির্মাণের কথা। ডিসি জানতে চান দু-একজন দানশীল ব্যক্তির নাম। অধ্যক্ষ উত্থাপন করেন রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি শিক্ষা ও ক্রীড়ানুরাগী নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর নাম। এরপর কোনো এক সময় জেলা প্রশাসক তাঁকে বিদ্যালয়ের চতুর্থ তলা নির্মাণের বিষয়টি উত্থাপন করেন। দেরি না করেই সানন্দে নাসের শাহরিয়ার সেখানে ৫০ লাখ টাকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
এর পরের কাহিনি ইতিহাস। ক্যাম্পাসে নয়নাভিরাম একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের হাতে প্রথম চেক তুলে দেন নাসের শাহরিয়ার। ২০১৫ সালের ৩ মে শুরু হয় ‘জাহানারা হুদা একাডেমিক ভবন’ নির্মাণের কাজ। পাঁচতলাবিশিষ্ট এই সুন্দর একাডেমিক ভবনটি গত ৯ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়। যার প্রাথমিক বাজেট ধরা হয় প্রায় তিন কোটি টাকা। ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যশোরের গুণী মানুষের ব্যাপক সমাগম ঘটে। স্কুলের অডিটরিয়ামে তিল ধারণের জায়গা ছিল না সেদিন।
বেলুন উড়িয়ে আর ফিতা কেটে ভবনের উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহেদী ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জাহিদ হোসেন মুসা, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি রুনা লায়লা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মোনাস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কামরুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে অতিথিরা স্কুলের কার্যক্রম ও একাডেমিক ভবন নির্মাণে সহায়তাকারীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, শিক্ষায় বিনিয়োগই শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, মসজিদে দান করার লোকের অভাব নেই। কিন্তু সমাজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য দান করার মানুষের বেশ সংকট। তিনি বলেন, সমাজকে আলোকিত করে তুলতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
স্মৃতি রোমন্থন করে জাহেদী ফাউন্ডেশনের সভাপতি জাহিদ হোসেন মুসা বলেন, ১৯৫১ সালে যশোরের এসডিওর এই বাংলো আজ পাঁচতলা ভবনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-ভাবতেই আনন্দে মন ভরে যায়। তিনি আরও বলেন, ‘অশিক্ষা, রোগব্যাধি আর শত্রু-এই তিনটির শেষ নেই। দুনিয়া যত দিন থাকবে, এই তিনটির বিরুদ্ধে লড়াই করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে আগামীর পথে।’ তিনি পুঁথিগত শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যয় হবে আগামীতে আরও ভালো কী কাজ করতে পারি, তাই নিয়ে ভাববার।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভালো মন, ভালো স্বপ্ন আর একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা থাকলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব।’
উল্লেখ্য, শুধু একাডেমিক ভবন নির্মাণে সহায়তাই নয়, শাহরিয়ার জাহেদী এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ‘নাহিদা আকতার জাহেদী মেধা বৃত্তি’ও চালু করেছেন।