জীবনের গল্প; আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরালে ঠুস, পড়ে না চোখের পলক/কী তোমার রূপের ঝলক প্রভৃতি গান গেয়ে দেশের প্রখ্যাত স...
জীবনের গল্প; আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরালে ঠুস, পড়ে
না চোখের পলক/কী তোমার রূপের ঝলক প্রভৃতি গান গেয়ে দেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত
শিল্পী এন্ড্রু কিশোর মাতিয়ে গেলেন যশোরবাসীকে। কাছ থেকে এক নজর দেখবেন এবং
সরাসরি তার কণ্ঠে গান শুনতে বিকাল থেকে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
সন্ধ্যায় তরুণ-তরুণী, মাঝ বয়সী ভক্তদের দ্বারা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে
যশোর পৌর উদ্যান।
যশোর পৌরসভা আয়োজিত বিজয় উৎসব- ২০১৬ এর শুরুতে স্থানীয় শিল্পীরা তাদের পরিবেশনায় দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। তবে বোঝাই যাচ্ছিল তাদের তৃষ্ণা। হাসিখুশি চোখ খুঁজছিল বিখ্যাত সেই গায়ককে। রাত সাড়ে সাতটায় সবার প্রতীক্ষার অবসান হয়। মঞ্চের লাল সবুজের আলোক উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিল বাংলার দরাজ কণ্ঠের অধিশ্বর শত শত গানের কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের উপস্থিতি। মুহুর্মুহু করতালিতে দর্শক-শোতা ভক্তরা তাদের ভালোবাসা জানান এবং শুরুতেই তিনি বাংলাদেশের জন্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ‘আমরা সবাই বাঙালি’ গানের প্রথম দুই লাইন উৎসর্গ করেন। তারপর সবার উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে সাদর সম্ভাষণের পর আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের কথা ও সুরে পরিবেশন করেন ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনে ছিলাম গান’। এরপর একে এক ছয়টি জনপ্রিয় গানের মধ্যে মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের। যশোরের জামাই খ্যাত সব্যসাচি লেখক সৈয়দ শামসুল হকের কথায় আলম খানের সুরে পরিবেশন করেন ‘হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস দম ফুরালে ঠুস’। এ সময় যশোর পৌর উদ্যানের প্রতিটি স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকরাও তার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে সুর তোলেন। কয়েকটি গানের পর মাউথ পিসে ‘পড়ে না চোখের…’ লাইনে সুর তুলে হাস্যোজ্জ্বল মুখে থেমে যান তিনি। দর্শকরা বুঝেই নেন, এটা সেই সাড়া জাগানো ছায়াছবি ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’র গান। যে ছায়াছবিতে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের লেখা এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া এই গানটিতে লিপ দিয়েছিলেন যশোরের ছেলে ঢালিউডের নায়ক রিয়াজ। মঞ্চের কাছেই অবস্থান নেওয়া শতশত তরুণ-তরুণী শীষ দিয়ে উল্লাস জানান।
‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’ গান শেষে এন্ড্রু কিশোর পানির জন্য বিরতিতে গেলে ভক্তকুলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বিভ্রান্তি। ভালোবাসার এই শিল্পীর পরিবেশনা শেষ মনে করে অনেকেই ছেড়ে যেতে থাকেন উদ্যান। হয়তো বুঝতে পেরেই তিনি সুর তোলেন ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’র কথায়। ঘুরে দাঁড়ায় দর্শক-শ্রোতাবৃন্দ। আশ্বস্ত হন তারা। এই গানের পর স্থানীয় শিল্পীদের তিন-চারটি গান পরিবেশিত হয়। তারপর আবার মঞ্চে আসেন এন্ড্রু কিশোর। একটি একক গান পরিবেশনের পর কণ্ঠশিল্পী ছন্দা ইসলামের সাথে গান ডুয়েট ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’, ‘সব সখিরে পার করিতে’, ‘আমার ভাঙা গাড়িতে’সহ কয়েকটি গান।
দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার একক ও ডুয়েট গান পরিবেশনার পর মঞ্চ ছাড়েন এন্ড্রু কিশোর। কিন্তু আরো যেন তৃষ্ণা ছিল ভক্তদের মাঝে। চার বছরের ছোট্ট শিশু জান্নাতুনকে সাথে নিয়ে বসেই ছিলেন উপশহর থেকে আসা গৃহিণী শারমিন রহমান, মার্কেটিংয়ের কাজ শেষ না করেই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা অন্তুন রায়ের মতো আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের মাঝে দর্শকদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার প্রমুখ। যশোর উদীচী’র ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি এ ডি এম শাহিদুজ্জামান অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য রাখেন। যশোর পৌর মেয়র বিজয় উৎসব-২০১৬ প্রধান জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু অনুষ্ঠানের সামনের ও নেপথ্যের সবাইকে এবং উপস্থিত দর্শকদের সুশৃঙ্খল-সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি টানেন।
যশোর পৌরসভা আয়োজিত বিজয় উৎসব- ২০১৬ এর শুরুতে স্থানীয় শিল্পীরা তাদের পরিবেশনায় দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। তবে বোঝাই যাচ্ছিল তাদের তৃষ্ণা। হাসিখুশি চোখ খুঁজছিল বিখ্যাত সেই গায়ককে। রাত সাড়ে সাতটায় সবার প্রতীক্ষার অবসান হয়। মঞ্চের লাল সবুজের আলোক উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিল বাংলার দরাজ কণ্ঠের অধিশ্বর শত শত গানের কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের উপস্থিতি। মুহুর্মুহু করতালিতে দর্শক-শোতা ভক্তরা তাদের ভালোবাসা জানান এবং শুরুতেই তিনি বাংলাদেশের জন্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ‘আমরা সবাই বাঙালি’ গানের প্রথম দুই লাইন উৎসর্গ করেন। তারপর সবার উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে সাদর সম্ভাষণের পর আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের কথা ও সুরে পরিবেশন করেন ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনে ছিলাম গান’। এরপর একে এক ছয়টি জনপ্রিয় গানের মধ্যে মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের। যশোরের জামাই খ্যাত সব্যসাচি লেখক সৈয়দ শামসুল হকের কথায় আলম খানের সুরে পরিবেশন করেন ‘হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস দম ফুরালে ঠুস’। এ সময় যশোর পৌর উদ্যানের প্রতিটি স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকরাও তার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে সুর তোলেন। কয়েকটি গানের পর মাউথ পিসে ‘পড়ে না চোখের…’ লাইনে সুর তুলে হাস্যোজ্জ্বল মুখে থেমে যান তিনি। দর্শকরা বুঝেই নেন, এটা সেই সাড়া জাগানো ছায়াছবি ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’র গান। যে ছায়াছবিতে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের লেখা এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া এই গানটিতে লিপ দিয়েছিলেন যশোরের ছেলে ঢালিউডের নায়ক রিয়াজ। মঞ্চের কাছেই অবস্থান নেওয়া শতশত তরুণ-তরুণী শীষ দিয়ে উল্লাস জানান।
‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’ গান শেষে এন্ড্রু কিশোর পানির জন্য বিরতিতে গেলে ভক্তকুলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বিভ্রান্তি। ভালোবাসার এই শিল্পীর পরিবেশনা শেষ মনে করে অনেকেই ছেড়ে যেতে থাকেন উদ্যান। হয়তো বুঝতে পেরেই তিনি সুর তোলেন ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’র কথায়। ঘুরে দাঁড়ায় দর্শক-শ্রোতাবৃন্দ। আশ্বস্ত হন তারা। এই গানের পর স্থানীয় শিল্পীদের তিন-চারটি গান পরিবেশিত হয়। তারপর আবার মঞ্চে আসেন এন্ড্রু কিশোর। একটি একক গান পরিবেশনের পর কণ্ঠশিল্পী ছন্দা ইসলামের সাথে গান ডুয়েট ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’, ‘সব সখিরে পার করিতে’, ‘আমার ভাঙা গাড়িতে’সহ কয়েকটি গান।
দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার একক ও ডুয়েট গান পরিবেশনার পর মঞ্চ ছাড়েন এন্ড্রু কিশোর। কিন্তু আরো যেন তৃষ্ণা ছিল ভক্তদের মাঝে। চার বছরের ছোট্ট শিশু জান্নাতুনকে সাথে নিয়ে বসেই ছিলেন উপশহর থেকে আসা গৃহিণী শারমিন রহমান, মার্কেটিংয়ের কাজ শেষ না করেই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা অন্তুন রায়ের মতো আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের মাঝে দর্শকদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার প্রমুখ। যশোর উদীচী’র ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি এ ডি এম শাহিদুজ্জামান অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য রাখেন। যশোর পৌর মেয়র বিজয় উৎসব-২০১৬ প্রধান জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু অনুষ্ঠানের সামনের ও নেপথ্যের সবাইকে এবং উপস্থিত দর্শকদের সুশৃঙ্খল-সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি টানেন।