গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে রংপুর মেডিকেলে চিকিত্সাধীন থাকা দুই সাঁওতাল এখন গাইবান্ধা জেলা কারাগারে। কোমরে দড়ি ও হাতকড়া পরানো নিয়ে লুকোচুরি করার অভিযোগ উঠার একদিন পরই মঙ্গলবার বিকালে তাদেরকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নিয়ে আসা হয়।
পরে বিকাল পাঁচটায় গোবিন্দগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এসএম তাসকিনুল হক এই আদেশ প্রদান করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যায় তাদের দুইজনকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার কুচাপাড়ার সাকিলা কিসকুর ছেলে বিমল কিসকু ও রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়ার মৃত জঙ্গা সরেনের ছেলে চরণ সরেন।
গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের দফায় দফায় সংঘর্ষে সাঁওতালদের চার জন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রবিবার রাতেই চাপাইনবাবগঞ্জের গোমেস্বরপুরের বাসিন্দা শ্যামল হেমভ্রম (৩৫) মারা যান। আর দীজেন টুডু ঢাকায় চিকিত্সাধীন আছেন। তার বাড়ী গোবিন্দগঞ্জের জয়পুর গ্রামে।
আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্র সরেন জানান, চিনিকল তাদের বাপ-দাদাদের জমি অধিগ্রহণ করার পর তারা এই এলাকা ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে চিনিকল চুক্তিভঙ্গ করলে ওই জমি ফেরত পাবার আশায় এখানে বসবাস শুরু করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিত্সক তাদেরকে ছাড়পত্র দিয়ে দিছে। তাই তাদের দুইজনকে গাইবান্ধায় নিয়ে আসা হয়্। তারা দুইজনেই গত ৬ নভেম্বরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহার নামীয় আসামি।
0 coment rios: