যশোর আওয়ামী লীগে কোন্দল দীর্ঘদিনের। দুই গ্রুপে বিভক্ত জেলার নেতারা।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিবদমান দুটি গ্রুপ থেকেই সম্ভাব্য ১০ প্রার্থী
মনোনয়ন দৌড়ে মাঠে নেমেছেন। দলীয় প্রতীক পেতে জোর লবিংয়ে তৎপর তারা। সূত্র
জানায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের বৃহৎ একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ করেছেন জেলা আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। মূলত তৃণমূল আওয়ামী লীগে তার রয়েছে
শক্তিশালী অবস্থান। এছাড়া জেলার আরেকটি অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদর আসনের
সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন
সরাসরি কাজী নাবিলের সঙ্গে মিশে রাজনীতির মাঠে রয়েছেন। এছাড়া সদর উপজেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ছাড়া কাজী নাবিলের সঙ্গে প্রভাবশালী
কোনো নেতার নাম শোনা যায়নি। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে এই গ্রুপ থেকে
দু’জনই সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের
উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মজিদ
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। পৌর ও
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেককেই সহযোগিতা করেছেন। এ
কারণে তার সহযোগিতা পেয়ে যারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
হয়েছেন তাদের একটি বড় অংশের সমর্থন রয়েছে মজিদকে ঘিরে। কারণ তৃণমূলের এই
জনপ্রতিনিধিরাই হবেন জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। এদিকে জেলার প্রবীণ
আওয়ামী লীগ নেতা জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক শাহ হাদিউজ্জামানও এবার
মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে আবেদন পাঠিয়েছেন। তবে তিনি বয়সের কারণে চলাচলে প্রায়
অক্ষম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে
আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছেন ৯ জন। এর মধ্যে আবদুল মজিদ, শাহ
হাদিউজ্জামান, শহিদুল ইসলাম মিলন ও মোহিত কুমার নাথ ছাড়াও অন্য ৫ জন হলেন
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর
জহুরুল ইসলাম, যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজেক আহমেদ, জেলা
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী রায়হান। অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের
নেতা আবদুল মালেক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত আলী রেজা রাজুর
সহধর্মিণী ফিরোজা রাজু।
তথ্য সূত্রঃ যুগান্তর রিপোর্ট
0 coment rios: