যশোর জেলায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত দুই বছরে প্রায় ১শ’ জন ব্যক্তি তাদের নিরাপত্তায় বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেছেন। এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ এর প্রণীত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ এ বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফিস বৃদ্ধি করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
চলমান সামাজিক অস্থিরতা, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম বৃদ্ধিতে জন মনে নানা আশঙ্কা বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা লাগামহীন। ফলে বিশিষ্ঠ ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে যশোরের আট উপজেলায় আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী রয়েছেন ১ হাজার ৩শ’ ৫২ জন ও অস্ত্রবিহীন লাইসেন্সধারী রয়েছেন ২শ’ ৪৪ জনসহ মোট আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারী রয়েছেন ১ হাজার ৫শ’ ৯৬ জন। যা ২০১৫ সালে ছিল ১হাজার ৫শ’ ৫৮ ও ২০১৪ সালে ছিল ১ হাজার ৮শ’ ৯৯ জন।
এদিকে ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ কর্তৃক প্রণীত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ এর প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী, ব্যক্তি অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারীর ১২ বোর বন্দুক/শর্টগান/ দশমিক ২২ বোর রাইফেলের লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন ফিস বাবদ ৫ হাজার টাকা, অন্যান্য শিল্প প্রষ্ঠিানের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারীর ১২ বোর বন্দুক/শর্টগান/ দশমিক ২২ বোর রাইফেলের লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন ফিস বাবদ ১০ হাজার টাকা এবং এনপিবি পিস্তল/ রিভলবার লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন ফিস বাবদ ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। যা গতবছর যথাক্রমে ১ হাজার ও ৩ হাজার টাকা ছিল।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও নবায়ন ফিস বৃদ্ধি বিষয়ে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারী যশোর সদর উপজেলার হৈবৎপুর ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাইফেলের লাইসেন্সধারী অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, প্রচার প্রচারণা ছাড়া নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন ফিস হঠাৎ করে ৩ থেকে ৫গুন বৃদ্ধি। যা একেবারেই অস্বাভাবিক। ফিস কমাতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি প্রসংগে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সোহেল হাসান জানান, মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে এ ফিস নির্ধারণ করা হয়। যা গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। কথা প্রসংঙ্গে তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে ৫ বছরের অধিককাল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন না করা হলে নবায়নের কোন আবেদন বিবেচিত হবে না। সে ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লাইসেন্স বাতিলপূর্বক আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করবেন। তিনি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের নিয়ম মেনে অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলেন।
যশোর জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১২ অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত বৈধভাবে ১শ’ ২০ জন ব্যক্তির কাছে ১শ’ ২০টি পিস্তল, ৪৬ জন ব্যক্তির কাছে ৪৬টি রিভলবার, ১শ’ ২৯ জন জন ব্যক্তির কাছে ১শ’২৯টি রাইফেল, এবং ১হাজার ৫৭ জন জন ব্যক্তির কাছে ১ হাজার ৫৭টি বন্দুক/ শর্টগান রয়েছে।
এদিকে যশোরে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের নবায়ন আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডক্টর হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত গণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
গণ বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ি ৪ ডিসেম্বর চৌগাছা, ৫ ডিসেম্বর শার্শা, ৬ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা, ৭ ডিসেম্বর মণিরামপুর, ৮ ডিসেম্বর অভয়নগর, ১১ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া, ১৩ ডিসেম্বর কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে স্ব স্ব উপজেলার বসবাসকারীরা তাদের ১২ বোর বন্দুক/ শটগান এর লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন।
১৪ ডিসেম্বর যশোর সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীরা ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসারের কার্যালয়ে ১২ বোর বন্দুক/ শটগান এর লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।
যশোর সদর উপজেলার বসবাসকারীরা তাদের ১২ বোর বন্দুক/ শটগান এর লাইসেন্স ১৫ ও ১৮ ডিসেম্বর এবং জেলায় বসবাসকারীরা তাদের রাইফেল, পিস্তল ও রিভলবার এর লাইসেন্স ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেএম শাখায় নবায়ন করতে বলা হয়েছে।
চলমান সামাজিক অস্থিরতা, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম বৃদ্ধিতে জন মনে নানা আশঙ্কা বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা লাগামহীন। ফলে বিশিষ্ঠ ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে যশোরের আট উপজেলায় আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী রয়েছেন ১ হাজার ৩শ’ ৫২ জন ও অস্ত্রবিহীন লাইসেন্সধারী রয়েছেন ২শ’ ৪৪ জনসহ মোট আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারী রয়েছেন ১ হাজার ৫শ’ ৯৬ জন। যা ২০১৫ সালে ছিল ১হাজার ৫শ’ ৫৮ ও ২০১৪ সালে ছিল ১ হাজার ৮শ’ ৯৯ জন।
এদিকে ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ কর্তৃক প্রণীত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ এর প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী, ব্যক্তি অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারীর ১২ বোর বন্দুক/শর্টগান/ দশমিক ২২ বোর রাইফেলের লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন ফিস বাবদ ৫ হাজার টাকা, অন্যান্য শিল্প প্রষ্ঠিানের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারীর ১২ বোর বন্দুক/শর্টগান/ দশমিক ২২ বোর রাইফেলের লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন ফিস বাবদ ১০ হাজার টাকা এবং এনপিবি পিস্তল/ রিভলবার লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন ফিস বাবদ ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। যা গতবছর যথাক্রমে ১ হাজার ও ৩ হাজার টাকা ছিল।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও নবায়ন ফিস বৃদ্ধি বিষয়ে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারী যশোর সদর উপজেলার হৈবৎপুর ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাইফেলের লাইসেন্সধারী অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, প্রচার প্রচারণা ছাড়া নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন ফিস হঠাৎ করে ৩ থেকে ৫গুন বৃদ্ধি। যা একেবারেই অস্বাভাবিক। ফিস কমাতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি প্রসংগে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সোহেল হাসান জানান, মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে এ ফিস নির্ধারণ করা হয়। যা গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। কথা প্রসংঙ্গে তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে ৫ বছরের অধিককাল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন না করা হলে নবায়নের কোন আবেদন বিবেচিত হবে না। সে ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লাইসেন্স বাতিলপূর্বক আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করবেন। তিনি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের নিয়ম মেনে অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলেন।
যশোর জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১২ অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত বৈধভাবে ১শ’ ২০ জন ব্যক্তির কাছে ১শ’ ২০টি পিস্তল, ৪৬ জন ব্যক্তির কাছে ৪৬টি রিভলবার, ১শ’ ২৯ জন জন ব্যক্তির কাছে ১শ’২৯টি রাইফেল, এবং ১হাজার ৫৭ জন জন ব্যক্তির কাছে ১ হাজার ৫৭টি বন্দুক/ শর্টগান রয়েছে।
এদিকে যশোরে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের নবায়ন আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডক্টর হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত গণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
গণ বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ি ৪ ডিসেম্বর চৌগাছা, ৫ ডিসেম্বর শার্শা, ৬ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা, ৭ ডিসেম্বর মণিরামপুর, ৮ ডিসেম্বর অভয়নগর, ১১ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া, ১৩ ডিসেম্বর কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে স্ব স্ব উপজেলার বসবাসকারীরা তাদের ১২ বোর বন্দুক/ শটগান এর লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন।
১৪ ডিসেম্বর যশোর সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীরা ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসারের কার্যালয়ে ১২ বোর বন্দুক/ শটগান এর লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।
যশোর সদর উপজেলার বসবাসকারীরা তাদের ১২ বোর বন্দুক/ শটগান এর লাইসেন্স ১৫ ও ১৮ ডিসেম্বর এবং জেলায় বসবাসকারীরা তাদের রাইফেল, পিস্তল ও রিভলবার এর লাইসেন্স ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেএম শাখায় নবায়ন করতে বলা হয়েছে।
0 coment rios: