বাংলাদেশ থেকে সবধরনের শ্রমিক নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরব। বুধবার দেশটির শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্য...
বাংলাদেশ থেকে সবধরনের শ্রমিক নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরব। বুধবার দেশটির শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। গত ছয় বছর ধরে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিলো। তবে গৃহকর্মীরা এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিলেন। এর ফলে এখন সবধরনের কাজে বাংলাদেশি দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকরা সৌদি আরবে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে ভিসা ব্যবস্থা উন্মুক্ত হয়ে যাবার পর, অনেক প্রবাসী এবং সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুকরা জানতে চাচ্ছেন সৌদি আরবের ভিসার দাম এখন কত। এ বিষয়ে কেউই আসলে নিদিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না।
তবে যারা সৌদি আরবে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন তাদের একজন আহমেদ সোবহান জানান, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশীদের জন্য সব ধরনের ভিসা খুলে দেয়া হয়েছে’- এই ঘোষণা আসার পর আমাদের অনেক ঘনিষ্ঠজন দেশ থেকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন সৌদি আরবের ভিসার দাম কত হতে পারে? আসলে ভিসার কোনো নির্দিষ্ট দাম নেই, দাম নির্ভর করে সাধারনত ক্রেতা ও বিক্রেতার উপর। অনেক সময় দেখা যায় যে দেড় লাখ টাকার ভিসা কারো কাছে বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ টাকায়, আবার কেউ এই একই ভিসা কিনছেন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকায়।
তবে অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশীর ভাগ প্রবাসীর মতে, সৌদি মুদ্রায় একেকটি ভিসা সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার রিয়ালের মধ্যে হলে ভালো। এছাড়া খুব ভালো মানের ভিসা হলে সর্বোচ্চ ৬ হাজার রিয়েল হতে পারে। তবে সাধারন ভিসা সর্বোচ্চ ৫ হাজার রিয়ালের মধ্যে কেনাই ভালো। এর কম পারলে তো কথাই নেই।
যারা ভিসার জন্যে অনেক দিন থেকে অপেক্ষা করে আছেন, তাদের প্রতি প্রবাসীদের পরামর্শ, এখন ভিসা পুরোপুরি উন্মুক্ত। সুতরাং তাড়াহুড়ো করার কোনও দরকার নেই। আগ্রহীর তাড়াহুড়ো বা আগ্রহ বেশী দেখালে ভিসা বিক্রেতারা দাম বাড়ানোর বা বেশী দাম রাখার সুযোগ পাবেন। সুতরাং জেনে শুনে ধীরে সুস্থে তবেই ভিসা কিনতে হবে।
সর্তক থাকতে হবে সঠিক ভিসা দিচ্ছেন কিনা, প্রবাসে গিয়ে কি কাজে দেয়া হবে সেটিও ভালো ভাবে জেনে বুঝে নেবেন। ফ্রি ভিসায় গেলে সৌদি আরবে পরিচিত কেউ থাকলে ভালো। কারন পরিচিত কেউ থাকলে এবং সহযোগীতা করলে কোন কাজ পেতে সহজ হ
বে