শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই ফলাফল হস্তান্তর করা হয়। বেলা ১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা দেবেন।
ফলাফলে দেখা গেছে, উচ্চ মাধ্যমিকে সারাদেশে ১০ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৬ জন।
এর মধ্যে কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৯১২ জন। যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৮৩.৪২, জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থী।
দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৮৯৯ জন। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭০.১৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮৭ জন।
চট্টগ্রাম বোর্ডে পাশের হার ৬৪.৬০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ২৫৩জন। রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৭৩ জন। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩৩০ জন।
এছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৮৮.১৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৪১৪ জন। কারিগরী শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৮৪.৫৭, জিপিএ-৫ পেয়েছ ছয় হাজার ৫৮৭জন।
বেলা ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd), নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফল জানতে পারবেন।
গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। সেই হিসাবে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে ১৫ হাজার ৩৮২ জন।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএর পাশাপাশি প্রাপ্ত নম্বরও দেওয়া হবে। গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে নম্বর দেওয়া বন্ধ করা হয়েছিল। শুধু একজন শিক্ষার্থী কত জিপিএ পেত, তা দেওয়া হতো।
গত ৩ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় জুনে। এ বছর দেশের আটটি সাধারণ এবং মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন।
0 coment rios: