গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তারাঁয় জঙ্গি হামলার 'মাস্টারমাইন্ড' হিসেবে সন্দেহভাজন তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ অন্তত পাঁচজন ভার...

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তারাঁয় জঙ্গি হামলার 'মাস্টারমাইন্ড' হিসেবে সন্দেহভাজন তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ অন্তত পাঁচজন ভারতে আত্মগোপন করেছেন বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে তাদের নামের তালিকা ভারত সরকারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বৃহস্পতিবার ভারত সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নয়াদিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
পাঁচ জঙ্গির বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও ভারতের গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য নুরুল হক মণ্ডল ওরফে নাইমকে ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পাঁচ সন্দেহভাজনের মধ্যে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক তামিম চৌধুরী অন্যতম। তাকে গুলশান হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
তামিম চৌধুরী আবু ইব্রাহিম আল হানিফ চৌধুরী নামেও পরিচিত। ২০১৬ সালে আইএসের ম্যাগাজিন দাবিক-এ তার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৩ সালে তিনি কানাডা থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
এছাড়া সন্দেহভাজন নাজিবুল্লাহ আনসারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করতে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। গত বছর আইএসে যোগ দিতে ইরাকে যাওয়ার কথা জানিয়ে ভাইকে চিঠি লেখার পর চট্টগ্রাম পুলিশ স্টেশনে তাকে নিখোঁজ দেখিয়ে একডি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
এটিএম তাজউদ্দিন নামের আরেক সন্দেহভাজন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনারত অবস্থায় নিখোঁজ হন। চলতি মাসের শুরুর দিকে লক্ষ্মীপুর সদর পুলিশ স্টেশনে তাকেও নিখোঁজ দেখিয়ে জিডি করা হয়।
অপর সন্দেহভাজন জুনুন শিকদারের বাড়ি কুমিল্লায়। সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনের আওতায় ২০০৯ সালে জুনুন গ্রেফতার হন। পরে ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০১৩ সালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। পরে জামিন নিয়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান জুনুন।
আর গত এক বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন জাপানের এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি তথা সুজিত দেবনাথ। পরে তার বাবা জনার্দন দেবনাথ নবীনগরে একটি জিডি করেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার নুরুল হক মণ্ডল ওরফে নাইমকে ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর কলকাতা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।