ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কলমনখালী গ্রামে মঙ্গলবার বিকালে ৯ দিনের কন্যাশিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহত শ...
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কলমনখালী গ্রামে মঙ্গলবার বিকালে ৯ দিনের কন্যাশিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহত শিশুটির বড় চাচা রিংকু খাঁ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কলমনখালী গ্রামের আব্দুল মজিদ খাঁর ছেলে সাঈদ খাঁ একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে আফরিনা খাতুনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু এ বিয়েতে সাঈদের পরিবারের সবাই রাজি থাকলেও বড় ভাই রিংকু খাঁ রাজি ছিলেন না। বিয়ের পর সাঈদ-আফরিনা দম্পতির ঘরে ওই কন্যা শিশুটি জন্ম হয়।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে মা আফরিনা সংসারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় শিশুটির চাচা রিংকু খাঁ ঘরে ঢুকেন এবং কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে বেরিয়ে যান। শিশুটির মা এরপর ঘরে ঢুকে বালিশচাপা অবস্থায় মেয়ের নিথর দেহ দেখতে পান। শিশুর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনার পর থেকে রিংকু পলাতক রয়েছেন।
শিশুটির নানা আনোয়ার হোসেন বলেন, ৯ দিন বয়সের শিশুকে এভাবে হত্যা করা হবে তা কল্পনাও করতে পারছি না।
সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার কলমনখালী গ্রামে ৯ দিন বয়সীর এক শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, হত্যার ঘটনা সঠিক হলে অবশ্যই থানায় মামলা রেকর্ড করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময় ১০৪০ ঘণ্টা ২৭ জুলাই, ২০১৬