শ্রমিক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা দেওয়ার দাবি না মেনে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিলেন মালিকেরা। যশোরে ঈদের আগের দিন থেকে গত সাত দিন ধরে বন্ধ রয়...
শ্রমিক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা দেওয়ার দাবি
না মেনে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিলেন মালিকেরা। যশোরে ঈদের আগের দিন থেকে গত
সাত দিন ধরে বন্ধ রয়েছে শহরের ৩৮টি রেস্তোরাঁ। খাবারের ভালো ব্যবস্থা না
থাকায় দূরদূরান্ত থেকে যশোর জেলা শহরে চিকিৎসাসেবা ও দাপ্তরিক কাজে আসা
মানুষ দুর্ভোগে পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সরকারি গেজেট অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব ভাতা (বোনাস), পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবি জানান শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এ নিয়ে মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকও হয়। তবে বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে সাত দিন আগে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেন মালিকেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়ের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো. শওকত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি গেজেট অনুযায়ী, উৎসব ভাতা ও নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য শ্রমিকেরা দাবি জানালে মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে বৈঠক হয়। শহরের ১৪টি হোটেল ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে ঈদের আগের দিন হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে। ওই মালিকদের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে শ্রমিকদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যশোর জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন গতকাল মঙ্গলবার মিছিল করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ঈদের আগে ৩০ জুন জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ সোহেল হাসানের সভাপতিত্বে হোটেলশ্রমিকদের দাবি নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে হোটেল মালিক সমিতি, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের আগে শ্রমিকদের মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব ভাতা ও সাত দিনের মধ্যে পরিচয়পত্র দিতে হবে। ১৪টি হোটেল রেস্তোরাঁর মালিক ওই সিদ্ধান্ত মানেননি। তাঁরা ঈদের আগের দিন থেকে হোটেল বন্ধ করে দিয়েছেন। ঈদের পরে হোটেল মালিক সমিতি আরও কয়েকটি হোটেল বন্ধ করে দেয়।
যশোর জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তাইজেল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০৯ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী, হোটেল-রেস্তোরাঁর শ্রমিকদের মূল বেতনের সমপরিমাণ দুই ঈদের উৎসব ভাতা, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু যশোরের কোনো রেস্তোরাঁর মালিক সরকারি ওই গেজেট মানেন না।’
এ বিষয়ে যশোর জেলা হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুকুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গেজেট অনুযায়ী শ্রমিকদের উৎসব ভাতা দেওয়া আমাদের সাধ্যের বাইরে। আমরা গত বছরের মতো শ্রমিকদের থোক উৎসব ভাতা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা নেননি। শ্রমিকেরা কাজ করছেন না। যে কারণে সমিতিভুক্ত ৩৮টি রেস্তোরাঁ সাত দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মূল ফটকের পাশের ভৈরব হোটেল, চিত্রা মোড়ের ক্যাফে মদিনা, লালদীঘি পাড়ের নুরু হোটেল, মনিহার প্রেক্ষাগৃহ এলাকার কণিকা হোটেলসহ বিভিন্ন এলাকার খাবারের বড় রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ রয়েছে। এতে শহরের বাইরে থেকে আসা মানুষ খাবার পাচ্ছে না।
কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর যশোর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলায় ছোট-বড় মিলে ৬৬টি হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর মধ্যে মালিক সমিতির অধিভুক্ত রেস্তোরাঁ ৩৮টি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সরকারি গেজেট অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব ভাতা (বোনাস), পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবি জানান শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এ নিয়ে মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকও হয়। তবে বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে সাত দিন আগে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেন মালিকেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়ের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো. শওকত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি গেজেট অনুযায়ী, উৎসব ভাতা ও নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য শ্রমিকেরা দাবি জানালে মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে বৈঠক হয়। শহরের ১৪টি হোটেল ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে ঈদের আগের দিন হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে। ওই মালিকদের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে শ্রমিকদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যশোর জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন গতকাল মঙ্গলবার মিছিল করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ঈদের আগে ৩০ জুন জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ সোহেল হাসানের সভাপতিত্বে হোটেলশ্রমিকদের দাবি নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে হোটেল মালিক সমিতি, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের আগে শ্রমিকদের মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব ভাতা ও সাত দিনের মধ্যে পরিচয়পত্র দিতে হবে। ১৪টি হোটেল রেস্তোরাঁর মালিক ওই সিদ্ধান্ত মানেননি। তাঁরা ঈদের আগের দিন থেকে হোটেল বন্ধ করে দিয়েছেন। ঈদের পরে হোটেল মালিক সমিতি আরও কয়েকটি হোটেল বন্ধ করে দেয়।
যশোর জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তাইজেল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০৯ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী, হোটেল-রেস্তোরাঁর শ্রমিকদের মূল বেতনের সমপরিমাণ দুই ঈদের উৎসব ভাতা, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু যশোরের কোনো রেস্তোরাঁর মালিক সরকারি ওই গেজেট মানেন না।’
এ বিষয়ে যশোর জেলা হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুকুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গেজেট অনুযায়ী শ্রমিকদের উৎসব ভাতা দেওয়া আমাদের সাধ্যের বাইরে। আমরা গত বছরের মতো শ্রমিকদের থোক উৎসব ভাতা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা নেননি। শ্রমিকেরা কাজ করছেন না। যে কারণে সমিতিভুক্ত ৩৮টি রেস্তোরাঁ সাত দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মূল ফটকের পাশের ভৈরব হোটেল, চিত্রা মোড়ের ক্যাফে মদিনা, লালদীঘি পাড়ের নুরু হোটেল, মনিহার প্রেক্ষাগৃহ এলাকার কণিকা হোটেলসহ বিভিন্ন এলাকার খাবারের বড় রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ রয়েছে। এতে শহরের বাইরে থেকে আসা মানুষ খাবার পাচ্ছে না।
কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর যশোর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলায় ছোট-বড় মিলে ৬৬টি হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর মধ্যে মালিক সমিতির অধিভুক্ত রেস্তোরাঁ ৩৮টি।